দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: বাংলায় প্রতিমাসে আসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা, এটা আগেই ঠিক ছিল। বেশ কয়েকদিন ধরে তাঁরা রাজ্যে থাকবেন ও দলের কর্মসূচিতে যোগ দেবেন। আর ইতিমধ্যেই ডিসেম্বর থেকে আসাযাওয়ার পালা শুরু। সেই ধারা বজায় থাকবে আগামী জানুয়ারি মাসেও। জানুয়ারীতে অমিত শাহ ও জে পি নাড্ডা দুইজনই আসছেন বঙ্গে। আগামী ৯ জানুয়ারি বাংলায় আসছেন নাড্ডা। থাকবেন ২-৩দিন। যদিও তাঁর সফরসূচি এখনও চূড়ান্ত নয় তবুও সূত্রের খবর তিনি বোলপুরে একটি জনসভা করতে পারেন। আর অমিত শাহ আসছেন নাড্ডা চলে যাওয়ার ঠিক এক সপ্তাহ বাদেই। অমিত শাহ’র সম্ভাব্য সফর শুরু হতে পারে ১৯ তারিখ থেকে। তিনিও ২-৩ দিন থাকবেন বাংলায়। শাহ’র এবারের সফরসূচিতে ঠাকুরনগরে একটি সভা থাকতে পারে।
তবে এবার কেন্দ্র-রাজ্য এই দুয়ের কাছেই বঙ্গের পশ্চিম ও মধ্য অংশ যে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ সেটা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ও রাজ্য নেতৃত্বের সভা ও পদযাত্রাকে দেখে বজহ যাচ্ছে। সামনেই বাংলার বিধানসভা নির্বাচন তাই শুধুমাত্র রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের ওপর ভরসা না রেখে দিল্লি থেকে নিয়মিত আসছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা। নিয়ম করে বাংলায় এসে সভা করছেন, র্যালী করছেন, নানান সম্প্রদায়ের মানুষের বাড়িতে গিয়ে খাওয়াদাওয়া করছেন। একটাই উদ্দেশ্য বাংলা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত গেরুয়া শিবির।
আর এর সাথেই রাজ্যের শাসক দলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেস ও বেছে নিয়েছেন সেই অংশকেই। এই মূহুর্তে রবীন্দ্রনাথ ও বোলপুরকে ঘিরে জমজমাট রাজ্য রাজনীতি। আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রবীন্দ্রনাথের ছবি বুকে নিয়ে পদযাত্রায় সামিল হতে দেখা গিয়েছে! এর আগেও অমিত শাহ থেক প্রধানমন্ত্রী সবার ভাষণেই নিয়ম করে ধ্বনিত হচ্ছে রবীন্দ্রনাথ! বিজেপি’র প্রধান মুখ তথা দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এখনও বাংলায় প্রচারে নামেননি তবে শোনা যাচ্ছে নির্বাচনের দিনক্ষন ঘোষণা হলেই তিনিও হাজির হবেন মাঝে মাঝেই। রাজ্যজুড়ে প্রায় ২১টি জনসভা করতে পারেন তিনি এমনটাই সূত্রের খবর।
জানুয়ারি মাসে নাড্ডা ও অমিত শাহ যে সফরে আসবেন সেই সফরে বোলপুর ও ঠাকুরনগর গুরুত্ব পেতে চলেছে। চলতি মাসে যখন অমিত শাহ বাংলায় এসেছিলেন তখন তিনি বোলপুরে র্যালি করেছিলেন। যার পাল্টা র্যালি আজ করে দেখালেন মমতা। এবার সেই বোলপুরেই জনসভা করতে পারেন নাড্ডা। লক্ষ্য কেষ্টগড়ে ধ্বস নামানো। জেলার ১১টি আসনই দলের ঝুলিতে পোরা। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে জেলার ২টি লোকসভা আসনেই জয়লাভ করেছিল তৃণমূল। কিন্তু জেলার ৫টি আসনে লিড তুলেছিল বিজেপি। এবারে গেরুয়া শিবিরের লক্ষ্য এই ৫টি আসন ছাড়াও জেলার বাকি ৬টি আসনেই লিড তুলে আসন বার করে আনা।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে রাজ্যে বিজেপি ১৮টি আসন পাওয়ার পর থেকেই গেরুয়া শিবিরে মানুষের আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আর এই আগ্রহকে হাতিয়ার করেই বিজেপি চাইছে বাংলার বিধানসভা। ইতিমধ্যে তৃণমূলের উত্থান মাটি নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন সাথে প্রায় ৬৫ জন নেতা ও বিধায়ক ও রয়েছে। তবে আগামী বিধানসভাতে CAA দিয়ে মতুয়াদের কাছে টেনে রাজ্যের প্রায় ৫০টি আসন দখল করতে চাইছে বিজেপি। আর সেই লক্ষ্যেই এবার মতুয়াদের প্রাণকেন্দ্র ঠাকুরনগরে গিয়ে সভা করতে পারেন অমিত শাহ।