দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো:তিনি তৃণমূল না ছেড়েই রাতারাতি যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। শুভেন্দু’র অনুগামী হিসেবেও নিজেকে পোস্টারে করেছেন জাহির। এরপর গণমাধ্যমের সামনেই রুদ্ধদ্বার বৈঠকে নিজের বাড়িতেই আলোচনা করেছিলেন রেবেল শুভেন্দুর সাথে। আর যার ফলাফল অমিত শাহ’র সাথে একই মঞ্চে গেরুয়া শিবিরে যোগদান! আর এই যোগদানের পড়ে বিজেপির সদর কার্যালয় হেস্টিংসে ঢোকার মুখে তাঁকে সামনা করতে হয়েছিল তাঁর’ই পূর্বতন দলীয় সমর্থকদের বিক্ষোভের (সৌগত ও কল্যাণের মতে স্বতষ্ফুর্ত)! সেই সুনীল মন্ডল এবার আবেদন জানিয়েছিলেন বিশেষ সুরক্ষার জন্যে।


সুনীল মণ্ডল হেস্টিংসে ঢোকার মুখে সেদিনের ‘হামলা’-র পরই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার দাবি করেছিলেন। আর এবার তাঁর দাবি মেনেই সাংসদ সুনীল মণ্ডলকে ‘ওয়াই প্লাস’ ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সূত্রের খবর, ‘জেড’ ক্যাটেগরির নিরাপত্তা চেয়েছিলেন সুনীল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে ‘ওয়াই প্লাস’ ক্যাটেগরির নিরাপত্তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। এবার থেকে সুনীলের নিরাপত্তায় সিআরপিএফ-সহ মোট ১১ জন আধাসামরিক জওয়ান থাকবেন। যাদের দু’তিনজন কমান্ডো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হবেন।
গত শনিবার হেস্টিংসে বিজেপির প্রধান নির্বাচনী দফতরে ঢোকার মুখে সুনীলের গাড়ি আটকে দিয়েছিলেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। গাড়ি ঘিরে হয়েছিল বিক্ষোভ। গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টাও হয়েছিল বলে অভিযোগ। আর তার জেরে ধুন্ধুমার বেঁধে গিয়েছিল। বিজেপির অভিযোগ, পুলিশের মদতে পরিকল্পিতভাবেই সেই বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরানোর চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি। পরে ঘটনাস্থলে আসেন আরও পুলিশকর্মী। ঘেরাওমুক্ত হয়ে বিজেপির দফতরে ঢুকে গিয়েছিলেন সুনীল।
সুনীলকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য রাজ্য বিজেপির তরফে সেই ঘটনার পরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে আর্জি জানানো হয়েছিল। এই বিষয়ে বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়’র মতে, অমিত শাহের মন্ত্রক দ্রুত তাঁকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেবে। তবে সেই ‘হামলা’-র ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন করে আরও একজন সদ্য বিজেপি নেতার জন্যে নিযুক্ত হলো কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী।