দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো:শনিবার মহিষাদলের দ্বারিবেড়িয়ার জনসভা থেকে রাজ্যের শাসকদল ও রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, ফোন ট্যাপ করছে পুলিশ। তাই শুভেন্দু, তাঁর পরিচিত সকলকে হোয়াট্সঅ্যাপে যোগাযোগের নির্দেশ দিয়েছেন। উল্লেখ্য কাল সে সময় তাঁর পাশে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়কে ছিলেন।
শুধু ফোন ট্যাপ নয় ওই সভাতে শুভেন্দুর অভিযোগ দ্বারিবেড়িয়া এলাকায় এক বিজেপি কর্মীকে মিথ্যা মামলায় জেল খাটানো হচ্ছে। আর সেকারণে শুভেন্দু এদিন সভায় উপস্থিত জনগণকে জানান যে যেকোনো দরকারে, যে কোনও সমস্যায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে। আর সেই সময়েই তিনি সাবধান করেন এই ফোনে যোগাযোগ না করার জন্যে। তাঁকে হোয়াট্সঅ্যাপ করতে হবে।
জনগণের উদ্দেশ্যে শুভেন্দু বলেন, “আপনারা সকলে আমার নম্বর জানেন। কিন্তু ফোন করবেন না। ভাইপোর পুলিশরা ফোন ট্যাপ করছে। হোয়াট্সঅ্যাপ করবেন। পৌঁছে যাব।” এর পরই তাঁর হুঁশিয়ারি, “এই অত্যাচার চলবে না। আদর্শ নির্বাচন বিধি চালু হতে দিন।”
তবে কাল ওই সভাতে দাঁড়িয়ে রাজ্য পুলিশের ওপর শুভেন্দুর এই অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “নতুন বিজেপি–তে গেছে তো। ও এখন নব্য বিজেপি। তাই আদি বিজেপি–কে টেক্কা দিতে গেলে ওকে নানা কথা বলতে হবে। শীতকাল পড়লে পশ্চিমবঙ্গে সার্কাস আসে। বন্যপ্রাণ আইন অনুযায়ী এখন সার্কাসে বাঘ, সিংহের খেলা দেখানো বারণ। তাই সার্কাসে এখন জোকার, কাকাতুয়া আর টিয়া পাখি থাকে। একটা আদি বিজেপি, একটা তৎকাল আর একটা পরিযায়ী বিজেপি। ফলে নানা বাজার গরম করার কথা বলে একে–অপরকে টেক্কা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন তাঁরা।”
খুব স্বাভাবিক ভাবেই যত ভোটের কাছে এগোচ্ছে বাংলা, ততই নিত্যনতুন খবর সামনে আসছে। আর কোথাও শুভেন্দু বনাম মমতার লড়াইকেই নতুন সমীকরণে বাঁধতে চাইছে বিজেপির থিংক ট্যাংক। আর সে কারণেই শুভেন্দুর একের পর এক হুঁশিয়ারি তৃণমূল তথা শাসকদলের কাছে একটু অস্বস্তিকর হয়ে উঠছে, এমনটাই মনে করছেন পর্যবেক্ষকদের একাংশ।