দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: কয়লা পাচার কাণ্ডে আরও একবার তত্পর সিবিআই। আজ একবার ফের বিনয় মিশ্র ও অনুপ মাঝি ওরফে লালা ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে তল্লাশি শুরু করল সিবিআই। ইতিমধ্যে বিনয় মিশ্রের ভাই বিকাশ মিশ্রকে আগামী ১৫’ই জানুয়ারী নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে আজ অর্থাত্ বুধবার সকাল থেকে দুর্গাপুর, রানিগঞ্জ ও আসানসোলের কমপক্ষে ১০ জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অন্তত ৭৫ জন সিবিআইয়ের আধিকারিক উপস্থিত রয়েছেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী প্রয়োজনে আরও আধিকারিক নিয়োগ করা হতে পারে। সে কারণে সিবিআইয়ের আরও ৫টি দল স্ট্যান্ডবাই হিসেবে কলকাতায় প্রস্তুত রয়েছে।
এর আগে গত নবেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে কয়লা পাচারের তদন্তে কলকাতার সল্টলেক থেকে রানিগঞ্জ, আসানসোল থেকে মুম্বাইয়ে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। এখনও বেপাত্তা কয়লা ও গরু পাচারে অন্যতম অভিযুক্ত ব্যবসায়ী অনুপ মাঝি ওরফে লালা। ইতিমধ্যে গত ৩১ ডিসেম্বর সামনে উঠে এসেছে তৃণমূল যুব কংগ্রেসেরে সাধারণ সম্পাদক তথা ব্যবসায়ী বিনয় মিশ্রর নাম। বিনয় মিশ্র এই মূহুর্তে দুবাইয়ে পালিয়ে লুকিয়ে আছেন। সিবিআই গোয়েন্দারা বিনয়ের রাসবিহারী ও চেতলার দুটি বাড়িতে আগের দিনের মত আজও তল্লাশি চালায়। বিনয় মিশ্রর নামে লুক আউট নোটিশ জারি হয়েছে। অন্যদিকে এই মূহুর্তে গরু পাচারকান্ডের অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হক জেলা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
সূত্রের খবর সিবিআই অনুমান করছে লালা ও এনামুলের সঙ্গে বিনয় মিশরর যথেষ্ট ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। বিনয়ের ফ্ল্যাট থেকে বেশ কিছু নথি, একাধিক মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। সেইসব ডেটা বিশ্লেষণ করে অনেক প্রভাবশালীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সিবিআই এর মতে যে পদ্ধতিতে কয়লা ও গরু পাচার চলত তাতে এর পেছনে বড় মাথা থাকার সম্ভাবনা থাকছে। সামনে এসেছে আরও ১৭ জন আইপিএস অফিসারের নাম যারা প্রত্যেকেই এই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। এদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পত্তি ও প্রভাব খাটানোর অভিযোগ রয়েছে। যদিও সবটাই প্রমাণ সাপেক্ষ।