দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো:মানভঞ্জনের পর আজ পুরুলিয়ার সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে সুর চড়ালেন বীরভূমের তিনবারের তারকা সাংসদ শতাব্দী রায়।তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতির মতো বড়সড় দায়িত্ব পাওয়ার পর আজই বিজেপির বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন তৃণমূল নেত্রী শতব্দী রায়।
মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি আস্থা রাখার কথা বলে তিনি জনসাধারণের উদ্দেশ্যে বলেন “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুযোগ দিচ্ছেন, ভোট না দিলে বেইমানি হবে।”একইসঙ্গে ‘বহিরাগত’ ইস্যুতে বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন,”সংসারে অশান্তি হয়। নিজের লোককে বকা যায়। বাইরের লোক এসে কিছু বলবে এটা হতে দেওয়া যাবে না। আমাদের অভিমান থাকতে পারে ওনার ওপর। কিন্তু অন্য রাজ্যের মানুষ এসে ওনাকে বলবে, এটা মানব না।”
এদিন তৃণমূল সাংসদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে সুর চড়িয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন।সকলকে পরামর্শ দিয়ে জানিয়েছেন “ওরা যা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, তাতে বিভ্রান্ত হবেন না। বুদ্ধি দিয়ে বিচার করে সিদ্ধান্ত নিন। আমাদের নেত্রী কথা রাখেন, পাশে থাকেন। বুকে হাত দিয়ে প্রশ্ন করুন তো, মানুষ কি উপকৃত হয়নি? আপনারা সুযোগ নেবেন কিন্তু ভোট দেবেন না, এটা কি বেইমানি নয়?”
অন্যদিকে বিজেপিকে রাজ্যের সমস্ত গন্ডগোলের কারণ বলে দাবি করেছেন শতাব্দী।তাই দল নেত্রীর প্রতি আস্থা রাখার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন “আমরা এরাজ্যে শান্তিতে ছিলাম। যখন থেকে বিজেপি ক্ষমতায় আসতে চাইছে, তবে থেকেই গন্ডগোল হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার কোনও প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতিশ্রুতি রাখেনি। ১০০ ভাগের ১০০ ভাগ-ই সম্ভব নয়, তবে যতটুকু সম্ভব আমাদের নেত্রী করেছে। তাই আমাদের অভাব, অভিযোগ আমরা দিদিকেই বলবো।”
প্রসঙ্গত,বৃহস্পতিবারই ফেসবুকে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় ।এমনকি শনিবার দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করারও ইঙ্গিত দেন তিনি। এরপরই শুক্রবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে মানভঞ্জনের পর দলের গুরুত্ব পেয়ে সন্তুষ্ট শতাব্দী জানান, শনিবার আর দিল্লি যাচ্ছেন না তিনি।এরপরেই রবিবার তাঁকে রাজ্য সহ-সভাপতি করা হয়।দলের তরফে এই বড়সড় দায়িত্ব পাওয়ার পরেই আজ ফের পুরুলিয়ার সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে সুর চড়াতে দেখা যায় শতাব্দী রায়কে।