দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: আজ ৭২’তম প্রজাতন্ত্র দিবসে এক অভূতপূর্ব নিন্দনীয় ঘটনার সাক্ষী রইল দেশের রাজধানী, লালকেল্লা সহ গোটা দেশ। আজ ট্রাক্টর মিছিল কে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া অরাজকতার দায় নিতে চাইছেন না কোনও পক্ষই। আর এই ঘটনার ফল স্বরূপ দেশ দেখলো এক তরতাজা যুবক কৃষকের মৃত্যু, কাঁদানে গ্যাস, লাঠি চার্জ, লালকেল্লাতে ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন সহ দখল। আর এবার কৃষক আন্দোলনে রাজধানীর রাজপথে অশান্তির নিন্দা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে এই ঘটনার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকেই দায়ী করলেন। তিনি টুইটে লিখেছেন কেন্দ্রের ‘অসংবেদনশীল মনোভাব’-এর জেরেই পরিস্থিতি এমন আকার নিয়েছে। আজ মঙ্গলবার প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্র্যাক্টর প্যারেড আগে থেকে ঘোষিত কর্মসূচি। সেইমত নির্দিষ্ট কিছু রুটেই প্যারেডের অনুমতি দিয়েছিল পুলিশ। অনুমোদিত রুটের বহু জায়গায় তৈরি হয়েছিল অস্থায়ী ব্যারিকেড। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে কৃষকরা পথে নামার কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি পুলিশের হাতের বাইরে চলে যায়।
আজ কৃষক পুলিশ সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় আইটিও চত্বর, নাংলোই-এর মতো এলাকা। তার চেয়েও বড় বিতর্ক তৈরি হয়, পুলিশের নজর এড়িয়ে লালকেল্লায় ঢুকে গম্বুজের মাথায় কৃষক আন্দোলনের পতাকা টাঙিয়ে দেওয়ায়। এই ঘটনার নিন্দা করলেও তার দায় কেন্দ্রের উপরে চাপিয়ে মমতার টুইট, “দিল্লির রাজপথে যা হয়েছে, সেটা ভয়ঙ্কর ও বেদনাদায়ক। এর জন্য দায়ী কৃষক ভাই-বোনেদের প্রতি কেন্দ্রের অসংবেদনশীল মনোভাব ও উদাসীনতা।”
এর পাশাপাশি আজ তিনি এও বলেছেন যে “প্রথমত, এই তিন আইন কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে পাশ করানো হয়নি। দু’মাস ধরে রাজধানীর উপকণ্ঠে ক্যাম্প করে প্রায় দু’মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। কিন্তু কেন্দ্র সেই আন্দোলনে ইতি টানতে অত্যন্ত গা ছাড়া মনোভাব দেখিয়েছে। কেন্দ্রের উচিত কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসা এবং এই কালা কানুন প্রত্যাহার করা’।
প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরে পাশ হওয়া তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে প্রায় দু’মাস দিল্লির সীমানায় অবস্থান-আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। বার এগারো কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনার পরেও কোনও সমাধান সূত্র বেরোয়নি। জট খুলতে কেন্দ্রের সদিচ্ছার অভাবকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তৃণমূল।