The Calcutta mirror desk: সাধারণত দেবী কালী কালো অথবা নীল গাত্র রঙের হয়ে থাকেন। তবে এখানে দেবীর গায়ের রং সম্পূর্ণ সবুজ। বাংলার বেশ কয়েকটি প্রান্তে এভাবেই দেবীর আরাধনা করা হয়। যেখানে দেবীর গায়ের রং সম্পূর্ণ সবুজ। দেবীর চোখে মুখে রয়েছে এক প্রশান্তির ছবি। হুগলি জেলার হরিপালের শ্রীপতিপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পূজিত হয়ে আসছেন দেবী।
প্রায় ৭৪ বছরের বেশি পুরনো এই ঠাকুরের গায়ের রং সবুজ। আসলে দেবী এখানে বৈরাগ্যের প্রতীক। মাঠে ঘাটে শ্মশানে ঘুরে বেড়াতেন বটক কৃষ্ণ অধিকারী। বিবাহ হলেও সংসারে তার মন টেকেনি। শ্মশানে সিদ্ধি লাভ করেন এরপর স্বপ্নাদেশে তিনি মায়ের পুজোর শুরু করেন। কালী মন্দিরে ঘট স্থাপন করে প্রথমে এই পূজার সূচনা হলেও ধীরে ধীরে এই পুজো ব্যাপ্তি লাভ করে। সিদ্ধেশ্বরী কালীর মূর্তি তার গায়ের রং সম্পূর্ণ সবুজ। রটন্তী কালী তিথিতে মূলত দেবীর আরাধনা করা হয় রয়েছে বলির প্রথা এবং মদের ভোগ দেবার উপাচার।
দেবীকে দেওয়া হয় ইলিশ মাছ এছাড়া জবা ফুলের বদলে দুই ফুল দিয়ে তার পুজো করা হয়। পুজোর রাতে বাঁশির সুর দিয়ে দেবিকে জাগানো হয় । মূলত একটি বিশেষ বাড়ির পুজো হলেও এই দেবীর পূজা এখন বাড়ির নয় বারোয়ারির পুজো হিসেবেই পরিচিতি পেয়েছে। বিভিন্ন অমাবস্যায় দেবীর নিত্য পুজো করা হয়। অসংখ্য ভক্তরা সিদ্ধিলাভের আশায় ছুটে আসেন দেবীর কাছে।


