দ্যা ক্যালকাটামিরর ব্যুরো, পূর্ব মেদিনীপুর: করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে করোনা আক্রান্ত মৃত রোগীদের কোথায় দাহ করা হবে এটাই এখন প্রতিটা জেলা প্রশাসনের মাথা ব্যথার মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর ও এর ব্যাতিক্রম নয়। এই জেলার কোলাঘাট ব্লক প্রশাসন এই সমস্যার সমাধানের উদ্দেশ্যে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির সৎকার করার শ্মশান তৈরির পরিকল্পনা করেছেন। সেই পরিকল্পনা মতই ব্লকের কলিশ্বর, বলিশ্বর, দেহাটি ও ধুলিয়াড়া সংযোগ স্থলের একটি ফাঁকা নির্জন এলাকা বেছে নেওয়া হয়।
কিন্তু শ্মশান তৈরির কাজ শুরু করার আগেই গ্রামে খবর পৌঁছনো মাত্রই কলিশ্বর, বলিশ্বর, দেহাটি ও ধুলিয়াড়ার স্থানীয়, গ্রামবাসীরা প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। গ্রামবাসীদের মূলত অভিযোগ সরকারের পরিকল্পিত শ্মশান তৈরির জমির ও ওপর দিয়েই চাষবাসের কাজ করতে যান গ্রামের সাধারণ মানুষ। এবং এই শ্মশানের ১০০ মিটারের মধ্যেই উল্লিখিত ওই চারটি গ্রামের যাতায়াতের মূল রাস্তা। তাছাড়াও প্রস্তাবিত শ্মশানের কিছুটা দূরেই আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের বসবাস।


স্থানীয় মানুষরা আরও জানান যে সরকারি আধিকারিকরা তাদের সাথে কোন আলোচনা না করেই এই শ্মশান বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অবিলম্বে এই শ্মশান অন্যত্র না সরালে শীঘ্রই তারা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন বলে জানান উক্ত চারটি গ্রামের প্রায় ২০০ জন গ্রামবাসী।
যদিও এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কোলাঘাট ব্লকের বিডিও মদন মন্ডল জানান যে তাঁরা সরকারি সমস্ত বিধি নির্দেশ মেনেই ওখানে শ্মশান তৈরি করারসিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি আরও জানান যে যেখানে শ্মশান করার মনস্থির করা হয়েছে তার আশপাশে কোন জনবসতি নেই। এমনকি ওই শ্মশান তৈরি করা উদ্দেশ্যে আমরা ইতিমধ্যেই তিনটি সর্বদলীয় বৈঠক করেছি।
উল্লেখ্য এই শ্মশান তৈরির উদ্দেশ্যে বৃহষ্পতিবার তমলুক এসডিপিওর নেতৃত্বে গ্রামবাসীসহ একটি সর্বদলীয় বৈঠক হয়েছে। তবে আগামী দিনে ব্লক প্রশাসন কী পদক্ষেপ নেয় তা নিয়ে অপেক্ষায় রয়েছেন গ্রামবাসীরা।