দ্যা ক্যালকাটামিরর ব্যুরো: করোনা মহামারীর সাথে লড়াইয়ে রাজ্যে প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে নিপুণ সেনাপতির মতো দায়িত্ব সামলাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতি মমতা ব্যানার্জী।স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মাথা হওয়ার দরুন মানুষের ভালো মন্দের সমস্ত দায়ভার তাঁর কাঁধে। প্রতিদিনই কোনো না কোনো উপায়ে তিনি মানুষের সাথে চলার ও তাদের সমস্যাকে সমাধানের চেষ্টা করছেন।
ইতিমধ্যে তাঁর বারংবার ঘোষণা স্বত্বেও কলকাতা ও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের বেসরকারী হাসপাতাল গুলোতে করোনা রোগী ভর্তি ও সামঞ্জস্যহীন বিল চাপানোর কথা বিভন্ন গণমাধ্যম আর সোসাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল। যদিও রাজ্য ও দেশে প্রাইভেট হাসপাতালের অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ বহুদিনের।
এবার সেই সমস্যা দূর করার জন্যে বড় ঘোষনা করলেন মমতা ব্যানার্জি। স্বাস্থ্য দপ্তরের জারি করা নতুন নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, এবার থেকে করোনা চিকিত্সায় বেসরকারী হাসপাতালগুলি ৫০ হাজার টাকার বেশি অগ্রিম নিতে পারবে না। পাশাপাশি, আগে থেকে জানাতে হবে আনুমানিক খরচও।
বেসরকারী হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ উঠেছে রোগী ভর্তি নেওয়ার পর ইচ্ছেমতো বিলের অঙ্ক বাড়িয়ে দেওয়ার। এমনকী বহু ক্ষেত্রে চিকিত্সা করাতে এসে মানুষ তাদের জীবনের জমিয়ে রাখা সব টাকা দিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে ফিরে যান। করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর হাসপাতালের অপ্রতুলতা ও সরকারী হাসপাতালে শয্যা না পাওয়ার ফলে সুযোগের সদ্ব্যাবহারের এই অভিযোগ আরও বেড়েছে। এবার এই পরিস্থিতির পরিবর্তন করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্য সরকারের তরফে এই নির্দেশে স্পষ্ট বলা হয়েছে, রোগী ভর্তি হওয়ার আগেই খরচ জানাতে হবে পরিবারকে। মোট খরচের ২০ শতাংশের বেশি অগ্রিম নেওয়া যাবে না। রোগীর পরিবারের কাছে সেই মুহুর্তে টাকা না থাকলে তাদের ১২ ঘন্টা সময় দিতে হবে।
রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর আরও জানিয়েছে এর পাশাপাশি, কোনো পরীক্ষা বারবার করতে হলে এবং সেই পরীক্ষার খরচ যদি ২০০০ টাকার বেশী হয় তবে হাসপাতালকে তা লিখিত ভাবে জানাতে হবে রোগীর পরিবারের সদস্যদের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন সব মিলিয়ে করোনা পরিস্থিতিতে বেসরকারী হাসপাতালের বাড়বাড়ন্ত কড়া হাতে দমন করতে এবার মাঠে নেমেছে রাজ্য সরকার।