দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: করোনা আবহে রাজ্যের সাধারণ মানুষদের সারা বছর ফ্রী’তে রেশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে মমতার সরকার, এবার এর পাশাপাশি স্কুলছুট নাবালিকাদেরও বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী দেবে রাজ্য সরকার। রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ দফতর এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। গত বুধবার অর্থাত্ গতকাল থেকেই এই বণ্টন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি মতে আগামী ১৭ তারিখের মধ্যে তা শেষ করতে হবে। এই প্রকল্পের ফলে গোটা রাজ্যের প্রায় ২৭ হাজার নাবালিকা উপকৃত হবে বলে মনে করছে রাজ্য সরকার।


ইতিমধ্যেই ১১ থেকে ১৪ বছর বয়সি, বিদ্যালয় ছেড়ে দেওয়া মেয়েদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার জন্য আলাদা প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী এই নাবালিকাদের জন্য প্রতিদিন সাড়ে ৯ টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছে। সপ্তাহে ছ’দিন খাবার দেওয়া হবে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জন্য এখনও পর্যন্ত সেই সব খাদ্যসামগ্রী বিলি করে ওঠা সম্ভবপর হয়নি।
সেকারণে এবার স্কুলছুট নাবালিকাদের বাড়িতেই চাল-ডাল পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে যে, এই সব নাবালিকা উপভোক্তাদের দু’কেজি করে চাল, তিনশ গ্রাম মুসুর ডাল এবং এক কেজি করে ছোলা দেওয়া হবে। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরাই বণ্টনের কাজ করবেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে ওই নাবালিকাদের বাড়ির লোকজন বন্টন সেন্টারে এসে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে যেতে পারেন, অথবা কর্মীরা প্রয়োজনে তা বাড়িতে পৌঁছেও দিতে পারেন। দু রকমের সুবিধায় দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী শ্রীমতি শশী পাঁজা বলেন, মা ও শিশু’রা খাদ্য সামগ্রী পাওয়ার সুবিধা পেলে, এই সব নাবালিকারাও বাদ যাবে কেন! তাই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তাদেরকেও এই সামগ্রী দেওয়া হবে। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই স্কুলপড়ুয়া এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের মা-শিশুদের চাল-আলু সহ অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়েছে।
শুধু বণ্টনের ঘোষণা নয় এর সাথে প্রদত্ত খাদ্যসামগ্রীর কোনটি কত দামে বন্টনকারী সংস্থার কিনতে হবে,তাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। এই যেমন চাল কিনতে হবে ২৭ টাকা প্রতি কেজি দরে , ডালের দাম ধরা হয়েছে ৯০ টাকা প্রতি কেজি দরে এবং ৫৫-৬৫ টাকা প্রতি কেজি দরে কিনতে হবে ছোলা। রাজ্য সরকারের ভারপ্রাপ্ত দফতরের তরফ থেকে সুষ্ঠভাবে গোটা বণ্টন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থা বা বিদ্যালয় বা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র কে যাবতীয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই খাদ্যসামগ্রী পেয়ে স্কুল ছুট নাবালিকা সহ তার পরিবার যথেষ্ট খুশি।