দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: স্বাধীনতা দিবস আসন্ন। করোনা আবহে অন্য মাস্কের সাথে জাতীয় পতাকার প্রতীক সহ ফেস-মাস্কের ব্যবহার বেড়েছে। করোনা আবহে ফেস-মাস্কে জাতীয় পতাকার প্রতীকী ব্যবহার আদতে জাতীয় পতাকারই অবমাননা, এই প্রশ্নে আজ যৌথভাবে সরব বারাসাতের তৃণমূল ও বিজেপি।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দোকানে দোকানে শোভা পাচ্ছে জাতীয় পতাকার প্রতীকী ছাপানো ফেস-মাস্ক। সেগুলো বিক্রিও হচ্ছে দেদার। আর এখানেই এক সুরে প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল ও বিজেপি। ফেস-মাস্কে জাতীয় পতাকার ব্যবহার রুখতে তৃণমূল ও বিজেপি দ্বিমত নয়। এই প্রসঙ্গে সুর চড়িয়ে সরব বিজেপি আর এই জাতীয় ফেস-মাস্ক বিক্রির বিরুদ্ধে তৃণমূল নেমেছে পথে। করোনা আবহেও তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ রাজ্যের শাসক দল ও বিরোধীরা যৌথ ভাবেই উদ্যোগী হয়েছেন।
বুধবার উত্তর চব্বিশ পরগণার বারাসাতে, দুপুরে বারাসাত পৌরসভার চেয়ারম্যান সুনীল মুখার্জী যখন পথে নেমে মাস্কের দোকানে তল্লাশি চালাচ্ছেন ঠিক তখনই বিজেপির বারাসাত জেলা সভাপতি শংকর চ্যাটার্জী গণমাধ্যমের সামনে তীব্র আপত্তি তুললেন মাস্কে জাতীয় পতাকা বা তার প্রতীক ব্যবহারের বিরুদ্ধে।
তৃণমূল নেতৃত্ব সুনীল মুখার্জী দোকানে দোকানে ঘুরে জাতীয় পতাকার প্রতীক থাকা ফেস-মাস্ক বিক্রি করতে বারণ করলেন। কিন্তু ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মাস্কের দোকান থেকে বিক্রি হয়ে গেছে এরকম প্রচুর মাস্ক। এরকমই এক বিক্রেতা অসীম দত্ত জানালেন জাতীয় পতাকার প্রতীক ও অবয়ব সহ মাস্ক তুলেছিলেন বিক্রির জন্য। দুশো মাস্কের প্রায় সবই বিক্রি হয়ে গেছে।
তৃণমূলের সুনীল মুখার্জী ও বিজেপির শংকর চ্যাটার্জী অবশ্য একমত এই বিষয়ে যে ব্যবহারের পরে জাতীয় পতাকার প্রতীক যুক্ত মাস্ক ইতস্তত রাস্তায় পড়ে থাকতে পারে যা দেশের প্রতি অবমাননা। এছাড়াও এই মাস্ক গুলো তিনটি লেয়ারের মাস্ক নয় যা করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের জারি করা বিধির বিরূপ। তবুও এই বিবাদমান দুই দলের নেতৃত্বদের এক সুরে জাতীয়তাবাদের কথা বলতে দেখে একটাই শব্দ মনে পরছে ‘হিন্দ হ্যায় হাম, হিন্দুস্তান হ্যায় হামরা’।