দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: করোনা আবহে আপামর বাঙালি লড়াই করছে দৈনিক খরচ যোগাতে আর সেকথা মাথায় রেখে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়ার জন্য প্রসেসিং ফি বেঁধে দিলো রাজ্য উচ্চ শিক্ষা দপ্তর। শুধু তাই নয় কলেজগুলি সর্বোচ্চ কত টাকা নিতে পারবে তাও নির্দিষ্ট করে বলে দেওয়া আছে বিজ্ঞপ্তিতে। মূলত: অনলাইনে ফর্ম তোলা, জমা দেওয়া, বিভিন্ন তথ্য বা সার্টিফিকেট আপলোডিংয়ের জন্য প্রসেসিং ফি নেওয়া হয়েই থাকে। এবারে সেই কাজের জন্যে কলেজ কতৃপক্ষ কোনো টাকাই নিতে পারবে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে।
গত মঙ্গলবার রাতে রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের এমনই নির্দেশিকার পাঠিয়েছে উচ্চ শিক্ষা দফতর। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা তাদের অধীনে থাকা কলেজগুলোকে ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিয়েছে।
মূলত করোনা পরিস্থিতিতে এই ফি সর্বনিম্ন করতে বলা হয়েছে কলেজগুলিকে। এর আগে কোন কোন কলেজ প্রসেসিং ফি হিসেবে ৩৫০ টাকা আবার কোন কোন কলেজ ৪০০ টাকা পর্যন্ত নিতো। এই বছরও অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবার পরপরই বেশ কিছু কলেজ এইভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে টাকা আদায় করছিল। এ খবর কানে আসা মাত্রই উচ্চ শিক্ষা দফতর এবং শিক্ষামন্ত্রী নড়েচড়ে বসেন। এর পর শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের তত্বাবধানে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করার জন্য একজন ছাত্র বা ছাত্রী থেকে কত টাকা নিতে পারবে কোনো কলেজ, সেই টাকার এবারে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হল। আর সেই টাকার পরিমাণ ‘শূন্য’। এমন কি প্রসপেক্টাস বা অন্যান্য কাগজপত্রের নামেও টাকা নিতে পারবে না কলেজ।
উচ্চ শিক্ষা দফতরের মতে এবারের ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি প্রক্রিয়ার পুরোটাই অনলাইনে হবে। শুধু তাই নয় পরিবর্ত পরিস্থিতিতে যদি কোনো ছাত্রছাত্রী কলেজ আসতে অসমর্থ হন তাহলে ভর্তি প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় মূল্য অনলাইনেই ব্যাংক থেকে ট্রান্সফার করতে পারবেন তারা সেই নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ শিক্ষা দফতর। যদিও ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি ছাত্রসংগঠন ভর্তির ফি মকুব সহ বিভিন্ন দাবিতে সরব হয়েছে। অবশেষে তাদের দাবি মানলো রাজ্য উচ্চশিক্ষা দপ্তর।
তবে এই অনলাইন আবেদনের প্রসেসিং ফী কমিয়ে দেওয়ার সাথে ভর্তির জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে কলেজ কত টাকা নেবে সে বিষয়ে কোনো সম্পর্ক নেই। উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রে খবর সেক্ষেত্রে ভর্তির জন্য কলেজগুলি কত টাকা নিতে পারবে সেই বিষয়েও নির্দিষ্ট সীমা নির্ধারণ করা হবে নাকি সে বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।