দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো : আজ রবিবার, আগে থেকে প্রস্তাবিত একটি বৈঠকে দার্জিলিং এর ঐতিহাসিক জিমখানা হলে উপস্থিত হয়েছিল হিমালয়ান হসপিটালিটী এণ্ড টুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক বা এইচএইচটিডিএন (HHTDN) ও তাদের সিস্টার সংগঠন হিমালয়ান ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন কমিটি এবং দার্জিলিং হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। এই বৈঠকে বক্তব্য রাখেন এইচএইচটিডিএন এর কোষাধ্যক্ষ শ্রী শান্তনু চৌধুরী, সিনিয়র উপদেষ্টা এবং প্রবীণ সদস্য শ্রী সুরেশ পেরিওয়াল জি এবং শ্রী জিতু গিরি জি।
জিটিএ এলাকায় পর্যটন ব্যবসা শুরু করার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করতে এইচএইচটিডিএন এর সিনিয়র উপদেষ্টা শ্রী এস এন প্রধানজি এই সভার আয়োজন করেছিলেন। এই বঠকের উদ্দেশ্য আনলক ৩. ০ থেকে জিটিএ এলাকায় পর্যটন ব্যবসা পুণরায় চালু করা।


দার্জিলিং হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং হিমালয়ান ট্রান্সপোর্ট কো অর্ডিনেশন কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জিটিএ (গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) এলাকায় হোটেল, রিসোর্ট, হোমস্টে ইত্যাদি পর্যটনের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত প্রতিষ্ঠানের সম্ভাব্য খোলার তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০।
এই বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত হয় যে জিটিএ কে সেই লক্ষ্যে কাজ করার জন্য আবেদন জানানো হবে এবং পাহাড়ে সুস্থ ও সুরক্ষিত পর্যটনের ওপর আস্থা গড়ে তোলার প্রচারণা এবং এসওপি ইস্যু করার জন্য অনুরোধ করা হবে। সিক্যুরিটি অফ পিপল বা এসওপি (SOP) স্ট্যাটাস পরীক্ষা করতে হোটেলের জন্য একটি মনিটরিং টিমসহ পাহাড়ের সমস্ত এন্ট্রি পয়েন্টে বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্য শিবির স্থাপনেরর জন্য জিটিএ-কে অনুরোধ করা হবে।


শুধু হোটেল বা পাহাড়ে প্রবেশ নয় দার্জিলিং ও কালিম্পং ও কার্শিয়াং-এর হিল স্টেশন জুড়ে যাবতীয় পার্কিং ও ভেহিকল সিন্ডিকেটের স্যানিটাইজেশনের জন্য জিটিএ-কে অনুরোধ করা হবে।
আজকের এই সভায় সভাপতিত্ব করেন শ্রী এস এন প্রধান এবং মাননীয় সাঙ্গে শেরপা। এইচএইচটিডিএন সহ জিটিএ এলাকার প্রায় সকল পর্যটন, হোমস্টে এবং পরিবহন সমিতির একটি করে প্রতিনিধি দল সাথে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিল।
উল্লেখ্য গত জুলাই মাস থেকে করোনা আতঙ্ক ও পাহাড়ে পর্যটক হয়রানির কারণে পর্যটন ব্যবসা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় জিটিএ। এছাড়া রাজ্য সরকারের করোনা বিধি লাগু করণ ও ট্রেন বন্ধের কারণেও জিটিএ ও তত্সংলগ্ন অঞ্চলের পর্যটন ব্যবসার সাথে যুক্ত মানুষেরা অকল্পনীয় অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছেন। আজকের এই বৈঠকের পর সব ঠিকঠাক চললে আগামী সেপ্টেম্বর থেকেই আবার পাহাড়ে স্বচ্ছলতা ফিরবে বলে আশা করছে ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই।

