দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: লকডাউন আর মন্দা অর্থনীতির চাপে মধ্যবিত্ত থেকে গরীব সকলেরই নাভিশ্বাস ওঠার যোগাড়। এর ওপরে বাজারের ক্রমবর্ধমান সবজির দাম। এমনিতে বর্ষায় সাধারণ সবজির দাম একটু বেশিই থাকে কিন্তু এ বছর সব সবজি কে ছাপিয়ে গিয়েছে আলুর দাম। পকেটের টানেও যে শুধু আলু-সেদ্ধ ভাত খাবে বাঙালি সে গুড়েও বালি। আর এবার তাই আলুর দামে রাশ টানতে বেঁধে দেওয়া হল আলুর দাম।
শুক্রবার রাজ্য প্রশাসনিক সদর দফতরে কৃষি ও কৃষি বিপণন, এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ-সহ বিভিন্ন দফতরের শীর্ষকর্তারা আলু ব্যবসায়ী ও কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের কর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন। সেই বৈঠকের আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, খোলা বাজারে আলুর দাম ২৫ টাকা ধার্য কড়া হলো। পাশাপাশি খুচরো ও পাইকারি বিক্রেতাদের উদ্দেশ্যে জারি করা হয়েছে হুঁশিয়ারিও। বলা হয়েছে, আগামী সাত দিনের মধ্যে দাম না কমালে বন্ধ হতে পারে রপ্তানিও। এর পাশাপাশি পাইকারি মালিকদের বলা হয় আলুর দাম নির্দিষ্ট করতে সাতদিন সময় দেওয়া হচ্ছে, নির্দেশ মান্য না করলে নেওয়া হবে কড়া ব্যবস্থা।
সরকারী সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, রাজ্য নির্দেশ দিয়েছে যে যে কোল্ড স্টোরেজে ৪০ বস্তার বেশি আলু রয়েছে, তাদের নাম ও কোন স্টোরেজে তা রয়েছে সেই তালিকা স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনকে দিতে হবে। সরকারি কর্তারা এ দিনের বৈঠকে বলেছেন, আলুর লাগাম ছাড়া দামে রাজ্য সরকার রীতিমতো চিন্তিত। সরকারী কর্তাদের প্রশ্নের উত্তরে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলি জানিয়েছে, কোল্ড স্টোরেজ থেকে ঝাড়াইবাছাই হয়ে আলু বের হচ্ছে কিলো প্রতি প্রায় ১৭ টাকা ৭০ পয়সা দরে।
সরকারের পাল্টা যুক্তি তাহলে খুচরো বাজারে ২৮ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে জ্যোতি আলু বিক্রি আদতে অতিরিক্ত মুনাফা কামানো ছাড়া আর কিছুই নয়। সরকারী কর্তারা ব্যবসায়ী সংগঠনগুলিকে সাবধান করে জানিয়েছেন যে , দু’একদিনের মধ্যে প্রাথমিক ভাবে বাজারে এনফোর্সমেন্ট বিভাগ ও কৃষিবিপণন কর্তাদের উপস্থিতিতে পাইকারি হারে ২২ থেকে ২৩ টাকা কিলো দরে আলু ঢুকবে আর তা খুচরো বাজারে ২৫ টাকার বেশি দামে খুচরো ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা যাবে না। এর পাশাপাশি, সুফল বাংলার স্টলেও সরকার ২৫ টাকা কিলো দরেই আলু বেচবে। ব্যবসায়ীরা যেন এ ক্ষেত্রে সব বাজারেই আলুর সরবরাহ ঠিক রাখেন যাতে দামের হের ফের না হয়।