দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: এ বছরও পৌষমেলা হবে। ভার্চুয়াল বৈঠক শেষে এমনটাই জানালেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য। দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা যখন সাড়ে ৩৪ লক্ষ ৬৩ হাজার ৯৭৩ এবং মৃতের সংখ্যা ২৬ হাজার ৫৫০ এর বেশি তখনই পৌষমেলা হবে বলে জানালেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য।
প্রথম কর্মসমিতির বৈঠকে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, পৌষমেলা হবে না। পৌষমেলা করতে অপারগ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।প্রথম দফার এই সিদ্ধান্তের ফলে শোরগোল পড়ে যায় এবং প্রশ্নও ওঠে বিভিন্ন মহলে।
তবে শুক্রবার দ্বিতীয় দফার বৈঠকের শেষে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এমনটাই জানালেন বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার।পৌষমেলা বন্ধ করার কোন ইচ্ছা নেই বিশ্বভারতীর বলেও জানালেন তিনি।
সদ্য অনলাইনে এক বক্তৃতায় বিশ্বভারতীর কোর কমিটির সদস্য স্বপন দাশগুপ্ত জানিয়ে দেন, পৌষমেলা হচ্ছে এবং তা কেন্দ্রীয় সরকারের তত্ত্বাবধানে করা হবে। এই দিনই বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সভাকক্ষ থেকে কর্মী, অধ্যাপকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
এই বৈঠকে পৌষমেলা সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় তুলে ধরা হয় এবং তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনাও হয়। বৈঠক শেষে বিশ্বভারতীর তরফে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় যাতে বলা হয়,’পৌষমেলা বন্ধ করার কোনও ইচ্ছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের নেই।পর্যাপ্ত সহযোগিতা ও পরিকাঠামো পেলেই পৌষমেলা হবে’।
রাষ্ট্রপতি মনোনীত বিশ্বভারতীর কর্মসমিতির প্রাক্তন সদস্য সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক থেকে বেরিয়ে বলেন, “পৌষমেলা হবে, এই নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই”। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “উপাচার্য এদিনের বৈঠকে বলেছেন আমি যদি ব্যক্তিস্বার্থ নিয়ে কাজ করি, আপনারা জানতে পারেন তাহলে আমি বিশ্বভারতী ছেড়ে চলে যাব।”