দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: করোনা আবহে পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর সেপ্টেম্বেরের ৭ তারিখ থেকে ফের চালু হতে চলেছে দেশ ব্যাপী মেট্রো পরিষেবা। তবে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে প্রত্যেক মেট্রো স্টেশনেই। রবিবার এই নিয়ে দিল্লির পরিবহন মন্ত্রক থেকে একটি নির্দেশ জারি করা হয়েছে। যেখানে দিল্লি মেট্রোর জন্যে বেশ কয়েকটি কড়া নিয়ম জারি হয়েছে এই যেমন প্রতি কোচে সীমিত সংখ্যক যাত্রী, টোকেনে নিষেধাজ্ঞা, বাধ্যতামূলক স্মার্ট কার্ড ইত্যাদি নতুন নিয়ম চালু করা হচ্ছে।
কোচের ভেতরে তাজা বাতাসই ঘোরাফেরা করতে পারে সে জন্যে মেট্রোর এয়ার কন্ডিশন সিস্টেমেও কিছু পরিবর্তণ আনা হচ্ছে। এই বিষয়ে দিল্লির পরিবহণ মন্ত্রী কৈলাস গেহলট বলেন- ‘সর্বাধিক তাজা বাতাস যাতে কোচের ভেতরে আসতে পারে, সে জন্য বাতানুকূল ব্যবস্থা নতুন করে সিষ্টেমেটিক করা হচ্ছে। যদিও মেট্রোর ভেতরের তাপমাত্রা কত ডিগ্রিতে বেঁধে দেওয়া হবে সে বিষয়ে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায় নি।
গেহলট আরও জানিয়েছেন যে, সব স্টেশনেই ট্রেন থামবে না। ধাপে ধাপে স্টেশনগুলি খোলা হবে। প্রতিটি স্টেশনেই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি যাত্রীর থার্মাল স্ক্রিনিং সহ মেনে চলা হবে সোশ্যাল ডিসট্যানসিং এর নিয়ম ও। প্রতীকে স্টেশনেই থাকছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার মেশিন।
ইতিমধ্যে কলকাতা মেট্রোতেও একই নিয়ম জারি হচ্ছে। তবে কলকাতায় সব স্টেশন খোলা থাকবে কিনা সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায় নি। তবে গত কাল থেকেই কলকাতার বিভিন্ন মেট্রো স্টেশনে ধরা পড়লো তত্পরতার ছবি। প্ল্যাটফর্ম স্যানিটাইজেশনের পাশাপাশি হ্যাণ্ড স্যানিটাইজার মেশিন চেকআপ। কামরা স্যানিটাইজেশনের ছবিও উঠে এসেছে। তবে প্রতি কামরা তে কতজন করে সর্বোচ্চ যাত্রী উঠতে পারবেন সে বিষয়ে বিশদ কিছু জানা যায় নি।
গেহলট আরও জানিয়েছেন, যাত্রী ও মেট্রো কর্মীদের সুরক্ষার জন্যে ‘টোকেন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।” কারণ টোকেনের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে। আর এত পরিমাণ টোকেন বার বার সংক্রমণমুক্ত করা সম্ভব নয়। সেই জন্যে সফর করার জন্য মানুষকে স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করতে হবে। কনটেইনমেন্ট জোনে থাকা স্টেশনগুলি খুলবে না। তা ছাড়াও বেশ কিছু স্টেশন বন্ধ রাখা হবে। কোন কোন স্টেশন খোলা থাকবে, তার একটি তালিকা যাত্রীদের দিয়ে দেওয়া হবে।’
শনিবারই চতুর্থ ধাপের আনলকিং-এর কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেখানেই বলা হয়েছে, ৭ সেপ্টেম্বর থেকে খুলবে মেট্রো পরিষেবা। যদিও এই আনলকিং বিশেষজ্ঞদের চিন্তায় রেখেছে কারণ দেশ জুড়ে বাড়ছে সংক্রমণের হার। যদিও, কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, দৈনিক আক্রান্ত এবং মৃত্যুর নিরিখে ভারতের তুলনা আমেরিকা-ব্রাজিলের সাথে করা হলেও প্রতি দশ লক্ষে মানুষে সংক্রমিতের সংখ্যা ওই দেশ গুলোর তুলনায় ভারতে অনেকটাই কম। সেই সাথে দেশে সুস্থতার হার ৭৬% এর ওপরে আর আমাদের রাজ্যে তা ৮২%।