দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: মুখ্যমন্ত্রী সকলকে আবেদন করেছিলেন প্লাজমা দান করার জন্যে। সারা দেশ সহ বাংলাতেও প্লাজমা থেরাপি যথেষ্ট আশার আলো দেখাচ্ছে। এবার সেই আহ্বানে সারা দিয়ে পুলিশ বা ডাক্তার নয় সরাসরি এগিয়ে আসছে কোভিড যোদ্ধারাই। ডাক্তার, নার্স -র পর এবার সরাসরি কোভিড থেকে সেরে ওঠা মানুষেরাই এগিয়ে আসছেন তাদের রক্তের প্লাজমা দান করতে। উল্লেখ্য, বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার রোমিত দে -এর পর এবার রবিবার প্লাজমা দান করলেন দুর্গাপুরের কিংশুক গুপ্ত।
গত ১২ই জুলাই করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে দুর্গাপুরের একটি কোভিড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন ১৭ই জুলাই। সেই সময়ই তার পাশাপাশি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন তাঁর বাবা তাপস গুপ্ত এবং স্ত্রী নবনীতা গুপ্ত ও কন্যা সমাদ্রিতা গুপ্ত। রবিবার সিটি সেন্টারে মহরম উপলক্ষে দুর্গাপুরের মুসলিম ওয়েলফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে এ দিন কোভিড যুদ্ধে জয়ীদের কাছে রক্তের প্লাজমা দানের আবেদন জানিয়ে দুর্গাপুর মহকুমা ভলাণ্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরাম একটি রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত করে।
এই শিবিরে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার কর্মী সেপকো টাউনশিপের বাসিন্দা কিংশুক গুপ্ত তার রক্তের প্লাজমা দান করেন। কোভিড যোদ্ধা কিংশুক গুপ্ত রক্তের প্লাজমা দান করার পরে জানিয়েছেন, “কোভিড জয় করার পর প্লাজমা দান হল এক আলাদা তৃপ্তি।” দুর্গাপুর মহকুমা ভলাণ্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরামের সভাপতি কবি ঘোষ জানিয়েছেন-“এ দিন পঁচিশ জন রক্তদাতা তাদের রক্তদান করেছেন। কিংশুক গুপ্তের স্ত্রী নবনীতা গুপ্তও ঐ দিন প্লাজমা দান করতে এসেছিলেন। কিন্তু আইসিএমআরের বিধি নিষেধ থাকায় তাঁর প্লাজমা নেওয়া সম্ভব হয়নি।”