দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: করোনা আবহে দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে পর্যটন শিল্প। আমাদের রাজ্যের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, দাওয়াইপানি সহ গোর্খা টেরিটোরিয়াল জুড়েই বন্ধ হয়েছিল হোটেল, পরিবহন, ক্যাটারিং সহ পর্যটনের সাথ যুক্ত একাধিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। ইতিমধ্যে দেশ জুড়ে আনলকের তৃতীয় পর্যায় কেটে গেলেও পর্যটনের ভাগ্যে জোটেনি পর্যটকের নজরানা। ইতিমধ্যে জুলাই মাসে পর্যটনের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও মহামারীর আশঙ্কায় পাহাড় ছিল অবরুদ্ধ। অবশেষে গত সপ্তাহে হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুর ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক (HHTDN) এর বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ১’লা সেপ্টেম্বর থেকে জিটিএ অঞ্চল পর্যটকদের জন্যে খুলে দেওয়া হবে হোটেল, লজ এবং ট্যুরিজমের সাথ সম্পর্কিত সব কিছু।
এদিকে দীর্ঘ ৫ মাস ধরে বন্ধ থাকার ফলে অধিকাংশ ব্যবসায়ী প্রচুর অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছেন যা এই মূহুর্তে তাদের ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রেও অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমত পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের সহায়তা ভিন্ন পর্যটনের সাথে সম্পর্কিয় মানুষগুলির অন্য কোনো পথ নেই। আজ এই উদ্দেশ্যে হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুর ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক রাজ্য জুড়ে একটি বিশেষ কর্মসূচীর আয়োজন করে।
আজ এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিলিগুড়ি শহরের বাঘাযতীন পার্কের সামনে জমায়েত করেছিলেন এইচএইচটিডিএন এর শিলিগুড়ি শাখার সদস্যরা। সদস্যদের হাতে ছিল দাবি দাওয়া নিয়ে লেখা প্ল্যাকার্ড। একজন সদস্য ক্যালকাটা মিররকে জানান -” দীর্ঘ লকডাউনের ফলে আমাদের অধিকাংশ হোটেল মালিক, পর্যটনের সাথে যুক্ত পরিবহন মালিক ও কর্মচারীরা ৭০% ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছি। এমত পরিস্থিতিতে যখন দেশ জুড়ে নিউ নর্মাল এর অঙ্গ হিসেবে সব কিছুতেই ছাড় মিলছে তখন পর্যটনকে সরকার বাদ রাখছেন কেনো? সামনে দুর্গা পূজা, তারপর বড়দিন আসছে, এই ফেস্টিভ্যাল গুলোতে যাতে এই মানুষগুলো কিছুটা হলেও ব্যবসা করতে পারে তার সাধু প্রচেষ্টা সরকারের করা উচিত।”
শিলিগুড়ির পাশাপাশি আজ কলকাতার হাওড়া ও বারাসাতেও এই কর্মসূচী পালিত হয়েছে। আজ নিজেদের দাবি দাওয়ার পাশাপাশি প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির স্মৃতির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধাও জ্ঞাপন করেন এইচএইচটিডিএন এর সদস্যরা।
শিলিগুড়ি বারাসাত হাওড়া
উল্লেখ্য, জিটিএ এবং এইচএইচটিডিএন এর বৈঠকে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর মান্য করে ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেপ্টেম্বেরের প্রথম দিন থেকেই খুলে গিয়েছে পাহাড়ের দরজা। তাই এখন পাহাড়বাসী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে কবে আসবে বাঙালি বাবু রা তাদের দু চোখ ভরে পাহাড়ী নৈসর্গ উপভোগ করতে।