দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো : কখনো মধু সংগ্রহ, কখনো কাঠ আনা আবার কখনো মীন, কখনো কাঁকড়া শিকার করতে গিয়ে নিজেরাই শিকার হয়ে বাঘের কবলে প্রাণ হারান সুন্দরবনের জীবন সংগ্রামে থাকা মানুষেরা। সুন্দরবনে প্রায়ই জঙ্গলে মৎস্যজীবি পরিবারের প্রধান রোজগেরে মানুষের প্রাণ যায় তেমন করেই প্রাণ গেল মৎস্যজীবি মনিরুল গাজীর।কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘেনিয়ে গেল তাকে । বসিরহাট মহকুমা হেমনগর কোস্টাল থানার কুমিরমারি গ্রামে শুক্রবার ভোরবেলা বাঘের কবলে প্রাণ গেল তার।বছর পঁয়ত্রিশের মনিরুল গাজীর বাড়ি হিঙ্গলগঞ্জ পারঘুমটি গ্রামে। পেশায় গোটা পরিবার মৎস্যজীবী। আরো কয়েকজনের সাথে ভোররাতে কাঁকড়া ধরতে রায়মঙ্গল নদী দিয়ে কুমিরমারি জঙ্গলে ঢোকেন,কাঁকড়া ধরতে। সঙ্গীসাথীদের সুত্রে জানা গেছে, সেখানেই একটি “নরখাদক” বাঘ ওৎ পেতে বসেছিল শিকার ধরার জন্য। সেই সময় মৎস্যজীবী মনিরুলকে ঘাড়ে থাবা মেরে জঙ্গলে টেনে নিয়ে যায়। বাঘটির সঙ্গে মনিরুল লড়াই করলেও শেষ রক্ষা করতে পারেনি । মৃত্যু হয় মনিরুলের । এই ঘটনার জেরে বাকিরা আতঙ্কিত হয়ে জঙ্গল ছেড়ে গ্রামে ফিরে এসে খবর দেয় হেমনগর কোস্টাল থানার।কোস্টাল থানার পুলিশ আধিকারিক মলয় মন্ডল এর নেতৃত্বেও বনদপ্তর এর সহোযগিতায় লোকজন গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মনিরুল অবৈধভাবে জঙ্গলে ঢুকেছিল কিনা এবং জঙ্গলে কাঁকড়া ধরার কোন সরকারি নথিপত্র আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে বনদপ্তর ও হেমনগর কোস্টাল থানার পুলিশ।ওই মৎস্যজীবীর মৃত্যুর ঘটনায় ওই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে । তবে এলাকাবাসী জানেন আরও একটি প্রাণ গেল বাঘের কবলে। ডাঙায় বাঘ আর জলে কুমির -কামট নিয়ে বাস তাঁদের – বাঁচার লড়াইয়ে প্রাণ যাওয়া সুন্দর বনের মানুষদের স্বাভাবিক বিধি লিপি।।