দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: এপার বাংলার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান হচ্ছে পৌষ মেলা। বহু বছর ধরেই বাংলার শিল্প ও সংস্কৃতির মূল প্রচার মঞ্চ হয়ে উঠেছিল এই পৌষ মেলা। শান্তিনিকেতনে প্রত্যেক বছর এই মেলা অনুষ্ঠিত হতো। কিন্তু গত দেড় বছর ভারত সহ সারা পৃথিবীতে করোনার কালো ছায়া পড়েছে। সেই কারণে সংক্রমণ এড়াতে গতবছর বন্ধ ছিল পৌষ মেলা। তবে এখন পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আছে। যার ফলে বহু অনুষ্ঠান এবছর কোভিড বিধি মেনেই অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কিন্তু পৌষ মেলা হচ্ছে না এবছর। সেই কারণেই এবার এই মেলা বন্ধ থাকার জন্য রাজ্য সরকারকে দায়ী করেছে বিশ্বভারতীর উপাচার্য। আজ পৌষ উৎসবের সূচনা অনুষ্ঠানে তিনি এই বার্তা দিয়েছেন। যেখানে তিনি বলেছেন, “করোনা কালে পৌষমেলা করতে চেয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবের কাছে প্রথমে লিখিত আবেদন করা হয়। পরে তিনবার চিঠি দিয়ে অনুমতি চাওয়া হয়। কিন্তু আজও তার কোন উত্তর আসেনি, তাই মেলা করা গেল না। এর জন্য আমি অত্যন্ত ব্যথিত।”
আরও পড়ুন : উধাও হল জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ির নেম প্লেট, এই ঘটনার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে
এছাড়াও তিনি এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, “পৌষ মেলা আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল অক্টোবর মাস থেকে। এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি নিতে হয়। যখন অনুমতির জন্য ওই চিঠি কেন্দ্রে পাঠায় তখন তারা জানায় বিশ্বভারতী এই বিষয়ে রাজ্যকে চিঠি দিক। কারন কোভিড প্রোটোকল রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুসারে ঠিক হয়। এই পরের রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব কে চিঠি দেয় বিশ্বভারতী এবং জানতে চাই এই পরিস্থিতিতে কী করণীয়। অক্টোবরের গোড়াতে এই চিঠি দেওয়া হয়। পরে তিনবার রিমাইন্ডার দেওয়া হয় কিন্তু তার উত্তর আজও পাইনি বিশ্বভারতী। তখন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ চিন্তায় পড়ে যায় এই ভেবে যে এই পরিস্থিতিতে পৌষ মেলা আয়োজন করা কতটা যুক্তিযুক্ত। এই কারণেই বিশ্বভারতী এবছর পৌষ মেলার আয়োজন করতে পারল না।”