দ্য ক্যালকাটামিরর ব্যুরো: বিধি নিষেধের কড়াকড়ি করেও ঠেকানো গেলোনা করোনা। প্রায় ফাঁকা ক্যাম্পাসে পড়ুয়া, কর্মী সকলেই সংক্রমিত। এমনকী প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব হাসপাতালের চিকিৎসকেরাও রেহাই পাননি করোনার থাবা থেকে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর আজ, রবিবার থেকে আগামী এক সপ্তাহ প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় কাজকর্ম পুরোপুরি বন্ধ। খড়গপুর আইআইটি কর্তৃপক্ষ এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত অনলাইন ক্লাস যেমন চলছিল তেমনই চলবে।
এই প্রসঙ্গে শুক্রবার রাতেই আইআইটির রেজিষ্ট্রার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন “করোনা সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে ৬ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর অবধি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা সংক্রান্ত ও প্রশাসনিক কাজকর্ম সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হচ্ছে। ক্যাম্পাসে যে পড়ুয়া, অধ্যাপক, কর্মী, সাফাইকর্মীরা রয়েছেন তাঁরা আপাতত এখানেই আইসলেশনে থাকবেন। তবে বাইরে থেকে কেউ ক্যাম্পাসের ভেতরে ঢুকতে পারবে না। নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে কিছুক্ষণের জন্য খোলা হবে আইআইটি-র টেকনোলজি মার্কেট। শুধুমাত্র ওষুধের দোকান খোলা থাকবে আর পাঁচটা দিনের মতই। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান দুপুর ২টো পর্যন্ত একবেলা করে খোলা থাকবে। বাজারে সামাজিক দূরত্ব বিধি না মানলে বা মাস্ক ব্যবহার না করলে কর্তৃপক্ষকড়া কড়া ব্যবস্থা গ্রহণক করবে।”
যদিও আইআইটি-র রেজিস্ট্রার ভৃগুনাথ সিংহ’র মতে ,এটা ঠিক লকডাউন নয়। এতদিন তাদের কিছু গবেষণাগার, অফিস এক দিন অন্তর এক দিন খোলা হচ্ছিল। এ কারণে বাইরে থেকে বহু কর্মী কাজে যোগ দিচ্ছিলেন। সেখান থেকেই হয়তো সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এ জন্যেই আগমি এক সপ্তাহের জন্য প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি বন্ধ রাখছেন তাঁরা যাতে বাইরের মানুষের যাতায়াত বন্ধ করা যায়। শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা পাওয়া যাবে।
প্রসঙ্গত, এই শুক্রবারই অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় আইআইটি-র বিসি রায় টেকনোলজি হাসপাতালের ছয় চিকিৎসক করোনা পজিটিভ হন। ফলে এই মূহুর্তে আইআইটির ক্যাম্পাসে মোট ৩১ জন করোনা পজ়িটিভ। যদিও গত মার্চের লকডাউন ঘোষণার কিছু আগেই আইআইটি শিক্ষা সংক্রান্ত কাজকর্ম বন্ধ করেছিল আর পড়ুয়াদের অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা নিয়েছিল।
সেই সময় ৮ হাজার পড়ুয়া বাড়ি চলে যান। সাড়ে ১২ হাজার পড়ুয়ার মধ্যে ক্যাম্পাসে থেকে যায় ৪৫০০ জন । আবাসিক পড়ুয়াদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রিত করা হয়। তবে প্রশাসনিক ও গবেষণার কাজ কিছুটা শুরু হয়েছিল আনলক পর্বে। সেই সূত্রেই বাইরে থেকে কর্মীরা আসছিলেন।
ইতিমধ্যে ৩১ জন করোনা আক্রান্ত হওয়াতে ৩০’শে আগস্টের মধ্যে পড়ুয়াদের ক্যাম্পাস ছাড়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। ৪৪০০ জন পড়ুয়া বাড়ি চলে গেলেও এখনও শ’খানেক পড়ুয়া প্রতিষ্ঠানেই আছেন। এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে রেজিস্ট্রার ভৃগুনাথ জানান-“পড়ুয়াদের বাড়ি যেতেই বলছি। কেউ কেউ থেকে যেতেই পারেন। কিন্তু বাইরে থেকে নতুন করে কেউ আসবেন না।”