দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
আতঙ্কে ঘুম উড়েছিল গ্রামের সকলের, টানা ৬ দিন পর অবশেষে খাঁচাবন্দি দক্ষিণরায়। আজ মঙ্গলবার সকালে বনদফতরের কর্মীদের ছোড়া পরপর তিনটি ঘুমপাড়ানি গুলিতেই নিস্তেজ হয়ে পড়ে কুলতলির মানুষের গত ছয় দিনের ত্রাস রয়েল বেঙ্গল টাইগার। এরপর তাকে খাঁচাবন্দি করার পর ঝড়খালীর উদ্দেশ্যে রওনা দেয় বনদপ্তরের বিশেষ জলযানটি। পূর্ণবয়স্ক বাঘটিকে খাঁচাতে ভরে জলযানে তুলতেও বেশ খানিকটা বেগ পেতে হয় স্থানীয় মানুষ এবং বনদপ্তরের কর্মীদেরকে। একজন কর্মী আহতও হন বলে জানা যাচ্ছে ।
বাঘটি ধরা পড়ার পর খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা, গত কয়েকদিন ধরে রীতিমত আতঙ্কে বসবাস করতে হচ্ছিল তাদের। স্থানীয় সূত্রে খবর,গত বৃহস্পতিবার মাতলা নদী পেরিয়ে কুলতলির পিয়ালী নদীর কাছে চলে এসেছিল পূর্ণবয়স্ক বাঘটি এবং গ্রামের পাশে একটি ম্যানগ্রোভের জঙ্গলে আশ্রয় নেয়। বাঘের গর্জন এবং পায়ের থাবার চিহ্ন পাওয়া গেলেও সরাসরি কখনো দেখা পাওয়া যায়নি তার,তাই আরো চিন্তায় ছিল গোটা গ্রাম। রাতজেগে বনদপ্তরের কর্মীদের সাথে পাহারা দিচ্ছিল গ্রামবাসিরাও। বহু চেষ্টাতেও প্রায় পাঁচ দিন ধরে বাঘটির নাগাল করতে পারেনি বনদফতরের কর্মীরা,এমনকি ছাগলের টোপ দিয়ে খাঁচা পাতলেও সেই খাঁচায় ধরা দেয়নি বাঘটি,ফলে চিন্তা বাড়তে থাকে তাদের কারণ প্রায় পাঁচদিন ধরে ক্ষুধার্থ ছিল রয়েল বেঙ্গল টাইগারটি।
অবশেষে আজ সকালে দমকলকর্মীরা জল ছিটিয়ে বাঘের অবস্থান জানার চেষ্টা করেন এবং গ্রামবাসীরাও প্রচুর বাজি ফাটান,এর পরই বনদফতরের কর্মীদের নজরে বাঘটি আসার সঙ্গে সঙ্গে তাকে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে পাকড়াও করেন তারা। বাঘটি বর্তমানে সুস্থ আছে বলেই বনদপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে,স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাকে আবার জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলেই জানাচ্ছেন তারা।।