দ্য ক্যালকাটামিরর ব্যুরো: খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কোভিড-১৯ এর মৃদু উপসর্গ নিয়ে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, দিনকয়েক আগেই করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ায় করোনা টেস্ট হয় খাদ্যমন্ত্রীর। সেই রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। কিন্তু আশঙ্কা অন্য যায়গায়। খাদ্যমন্ত্রীর রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেশি। হাই ডায়াবেটিস। এই সমস্যাটাই চিকিৎসকদের ভাবাচ্ছে।
জ্যোতিপ্রিয় বাবুই অবশ্য প্রথম নয়, প্রথমে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন সোদপুরের বিধায়ক নির্মল ঘোষের। এমনকি সংক্রমণ ধরা পড়ার আগে প্রশাসনিক বৈঠকেও যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তারপর করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী তথা বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসুও। তাঁর বাড়ির এক পরিচারিকার শরীরে প্রথমে করোনা ধরা পড়ায় সুজিত বসু হোম আইসোলেশনে থাকলেও পরে তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করতে হয়েছিল। এরা দুজনেই এখন সুস্থ।
তবে এই বছরে তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের করোনা সংক্রমণ ও তার ফলে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ফলতার তৃণমূল বিধায়ক তমোনাশ ঘোষের করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছিল। তাঁকে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। তমোনাশ বাবুরও মাত্রাতিরিক্ত সুগার ছিল । পড়ে তা ওষুধ দিয়ে কমানো হয়েছিল। কিন্তু সোডিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় তাও নিয়ন্ত্রণের চেষ্টাও করা হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন ভেন্টিলেশনের থাকার ফলে তাঁর গলায় সংক্রমণ হওয়ার কারণে শেষ রক্ষা হয়নি।
দিনকয়েক আগেই কোভিড যুদ্ধে প্রয়াত হন এগরার তৃণমূল বিধায়ক সমরেশ দাস। ৭৬ বছর বয়সি বিধায়কের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীও। এবার আক্রান্ত হলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর অনুসারী সহ সমগ্র তৃণমূল দল চাইছে অতি শীঘ্র সুস্থ হয়ে উঠুন বালু দা। তাঁর শারিরীক অসুস্থতা অশোকনগরের মানুষের মনও ভারাক্রান্ত করেছে।