দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: একদা বসিরহাটে ইছামতি নদীর পাড়ে হিন্দু মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মাঝিমল্লারদের জন্য প্রার্থনার ঘর তৈরি হয়েছিল। দুশো বছরের সেই ঐতিহ্য সম্পন্ন বদর পীরের থানে প্রথমে ছিল দর্মার বেড়া। এরপরে সময়ের সাথে সাথে দালান উঠেছে, বসেছে পাথরের মূর্তি। বিগত কয়েক শতকে ইছামতি নদী বেয়ে সুন্দরবনের খাড়িতে মাছ ধরতে যাওয়ার আগে পাথরের মূর্তি কাছে প্রার্থনা করতেন জেলে-মাঝি-মল্লার। বদরের দয়াতেই কালিন্দী, রায়মঙ্গল সহ প্রত্যন্ত সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলের ভেতরে তারা চিংড়ি, পাঙ্গাশ, ইলিশ, পাবদা ধরতে যেতেন।


কিন্তু সময়ের আধুনিকতায় মাঝি-মল্লারদের নৌকায় প্রযুক্তি এসে যুক্ত হলেও সেই বেদি সংস্কারের যথেষ্ট অনীহা ও অভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে। যার ফলে নষ্ট হয়ে পড়ছিল এই দুশো বছরের ঐতিহ্যবাহী বদরের থান। অবশেষে গত মঙ্গলবার, তার সংস্কারের পথ দেখলো বসিরহাট।
মঙ্গলবার বসিরহাটের সাংসদ নুসরাত জাহান, তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ মিত্র, রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সমীক রায় অধিকারী, বসিরহাট পৌরসভার প্রশাসক তপন সরকার সেই সংস্কার হয়ে নতুন হয়ে ওঠা বদরের থানের দ্বারদঘাটন করলেন। এছাড়াও এই প্রার্থনাগৃহের পুনরায় শুভারম্ভ অনুষ্ঠানের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, এই কর্মকাণ্ডের মূল উদ্যোক্তা নিলু ঘোষ ও চিত্রা ঘোষ, বিশিষ্ট তৃণমূল নেতা অসিত মজুমদার ও বাপি ঘোষ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে এসেছিলেন বসিরহাট উচ্ছো বিদ্যালয়ের সহ-শিক্ষক বর্গ, ইছামতী ফেরি সংগঠনের মাঝি মল্লার সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
এর পাশাপাশি এই অঞ্চলে অবস্থিত প্রাথমিক বিদ্যালয়টির চারিদিকে নবরূপে পাঁচিল পেল ছাত্রছাত্রীরা। তবে ধর্মীয় সংস্কার ও সম্প্রীতির বার্তায় নিজেকে ব্যাপৃত রাখলেও বসিরহাটের মানুষ প্ৰিয় এবং বিতর্কিত সাংসদকে অনেক দিন পর কাছে পেয়ে যথেষ্ট আপ্লুত ছিল।
যদিও সংসদীয় নির্বাচন কেন্দ্রে নুসরাতের বিশেষ একটা আসা হয় না। তবুও যখন আসেন তখন মানুষকে প্রতিশ্রুতি ও ভালোবাসা জানিয়ে যান। এবার তিনি সব কথার মাঝেই প্রিয় বান্ধবী অভিনেত্রী ও সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর অভিনীত মহালয়া দেখার জন্য বসিরহাটের মানুষকে আহ্বান জানান। তিনি বলেন – “ছোটবেলা থেকে আমি মহালয়া দেখি, ভালো লাগে এবার আমার বন্ধু মিমি মহালয়া করছেন, সবাই দেখুন ভালো লাগবে। সেই সাথে সকল কে আসন্ন দুর্গাপূজা’র অভিনন্দন ও জানান আর পাশাপাশি করোনা মোকাবেলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির প্রদর্শিত পথ অনুসরণ করতে বলেন।