দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: দেশ জুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। আর রাজ্য জুড়ে বেড়ে চলা করোনা আক্রান্তদের খুঁজে বার করা, সেই সাথে মানুষের সুস্থতা, অসুস্থতা’র সঠিক জরিপ করার কাজে উদয়াস্ত পরিশ্রম করে চলেছেন জেলা’র দক্ষ আশা কর্মীরা। কিন্তু দিন কয়েক ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আশা কর্মীদের বকেয়া টাকা মেটানো নিয়ে বিক্ষোভের খবর কানে আসছিল। আজ পুরুলিয়াও সেই যুদ্ধে সামিল হলো। আজ পুরুলিয়ার করোনা যোদ্ধারা বিভিন্ন দাবি নিয়ে শুরু করেন বিক্ষোভ।
সূত্রের খবর, তাঁদের দাবি কোভিড পরিস্থিতিতে মাসিক ১ হাজার টাকা ভাতা বাড়ানো,পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রদান করা সহ আরো একাধিক ইস্যু। এই দাবি দাওয়া নিয়ে আজ তাঁরা পুরুলিয়া জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক দপ্তর ও জেলাশাসক দপ্তরের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ দেখায় পশ্চিমবঙ্গ আশা কর্মী ইউনিয়নের পুরুলিয়া জেলার শাখা।
উল্লেখ্য, এই আশা কর্মী ইউনিয়নের অভিযোগ, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষা ছাড়াই দিনরাত অর্থাত ২৪ ঘন্টাই কাজ করে চলেছেন তারা। এমনকি সরকারের ঘোষোনাকৃত কোভিড পরিস্থিতিতে বাড়তি ১০০০ টাকা ভাতাও পাচ্ছে না। অথচ বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে একের পর এক কাজের চাপ বাড়ানো হচ্ছে তাদের ওপর। এইসব দাবি দাওয়া নিয়েই আজ পুরুলিয়ার প্রতিটি ব্লকের আশাকর্মীরা অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন।
অন্যদিকে আজ একদিনে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯৫ হাজার ৭৩৫।যে সংখ্যা লাখে পৌঁছোতে খুব বেশী সময় লাগবে না। এই সংক্রমণের গ্রাফ উর্দ্ধমুখী বই নিম্নমুখী হচ্ছে না। আশঙ্কায় দিন গুনছেন পৌর অঞ্চল সহ জেলা ও রাজ্যের মানুষ। যদিও ডাব্লিউএইচও’র মতে ভারত এখন দ্বিতীয় পর্বে পৌঁছেছে। এহেন পরিস্থিতিতে মাস্ক, স্যানিটাইজার, সাবান প্রভৃতি ব্যাবহার করেও কিছুতেই কমানো যাচ্ছে না এই সংক্রমণের সংখ্যা। সেই অবস্থাতে মাত্র ৩৫০০ টাকা মাসমাইনে তে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে আশা কর্মীদের। বকেয়া টাকা টুকু মিললে এই মাগনা-গন্ডার বাজারে একটু সুরাহা হয়।


প্রসঙ্গত, গতকাল মধ্যমগ্রামে আশা কর্মীদের একটি রাজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদার এবং স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রীমা ভট্টাচার্য্য। আশা কর্মীরা তাঁদের কাছেও দাবি জানালে, তাঁরা জানান, দেখছি কী করা যায়, দেখতে হবে এমন সব এড়িয়ে যাওয়া উত্তর। যে কারণেই এই আশা কর্মীদের মনে বিক্ষোভ জন্মেছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।