দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: মহালয়া এলেই উমার আগমনী বার্তা শোনা যায়। আকাশে বাতাসে ভাসে মা দুর্গার মর্তে আসার পদধ্বনি। সূচনা হয় উৎসবের দিনের। এবার মহালয়া আসতে আর পাঁচদিন বাকি অথচ এবার উৎসবের প্রাক্কালে প্রাণ নেই। আবালবৃদ্ধবনিতার মুখ পাংশু। করোনা সংক্রমণ ও প্রানহানী মানুষ ভুলেছে আনন্দ। প্রতীকী হলেও করোনা আবহে বরাভয় দিচ্ছেন মা। এবারের করোনা আবহে হাবরা থেকে সুদূর থাইল্যান্ডে পাড়ি দিচ্ছে মা দুর্গার মৃন্ময়ী মূর্তি।
বিশ্বজুড়ে যতই থাবা বসাক না করোনা, তার মধ্যেই স্বস্তির বার্তা দিচ্ছেন দনুজদলনী। কিছুদিন বাদেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা, পুজো মানেই আনন্দ শরতের আকাশে বাতাসে। আর সেই ছবি যত দিন যাচ্ছে কোথাও কোথাও যেন উজ্জ্বল হচ্ছে ধীর লয়ে। সুর কেটেছে কোথাও কোথাও তথাপি মা দূর্গা অন্ধকারের দিন কাটার ইঙ্গিত দিচ্ছেন। এই যেমন দুর্গামূর্তির থাইল্যান্ড যাত্রা তারই ইঙ্গিতবাহী।
পৃথিবা পঞ্চায়েতের জিওলডাঙ্গা এলাকার পরিমল পাল প্রত্যেক বছর থাইল্যান্ড গিয়ে প্রতিমা বানান। কিন্তু এ বছর করোনা বাদ সাধায় আর বিদেশ যাওয়া হয়নি। তাই বাড়িতে বসেই পাঁচ ফুট উচ্চতার মা দূর্গা তৈরি করেছেন তিনি। সময় লেগেছে প্রায় ১৫ দিন। আগামী বৃহস্পতিবার এই দুর্গা পাড়ি দেবে থাইল্যান্ডের দিকে।
কিছুটা হলেও এবার শিল্পীর মন খারাপ। শুধু করোনা আবহে অর্থনীতি ও বাজার খারাপ বলে নয়, তাঁর মন খারাপ এ বছর থাইল্যান্ডের যেতে না পারার জন্য। বৃহস্পতিবারের উদ্দেশ্যে শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে জোড় কদমে। শিল্পীর সাথে সহযোগিতা করছে তার ছেলে এবং ভাগনে।
শিল্পী জানালেন প্রায় ৫০ হাজার টাকার দামে থাইল্যান্ডের বিক্রি হচ্ছে এই মূর্তিটি। যদিও এই রাজ্যে এ ধরণের মূর্তি তৈরি করলে এই মূহুর্তে এত টাকা আয় হতো না জানালেন শিল্পী নিজে। মূর্তিটি সম্পূর্ণ তৈরি হয়েছে মাটি, বিচুলি ও শাড়ি দিয়ে।সব মিলিয়ে আনন্দময়ীর আগমনী বার্তায় করোনা আতঙ্ক মুছে দেওয়ার সুর যেনো বেজে উঠছে দিকে দিকে। এই মৃন্ময়ী দূর্গা মূর্তির বিদেশে উড়ান এখন শুধু কয়েক দিনের অপেক্ষা মাত্র।