দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: নদীয়ার শান্তিপুর শহরের কাঁসারিপাড়া এলাকার সৌম্যনাথের একমাত্র পুত্র স্বপ্নজিৎ পরিবারের স্বপ্ন পূরণ করল। ন’বছরের সৌমজিৎ এখন তৃতীয় শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। দিল্লিতে অবস্থিত হিরণ্যগর্ভ যৌগিক এন্ড বৈদিক ইনস্টিটিউটের আয়োজিত অনলাইন যোগা কম্পিটিশনে সে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।
সৌমজিৎ’এর বয়স যখন ৩, বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় তাঁকে নিয়ে পরিবারের ভোগান্তি কম ছিল না। এইরকম ই একদিন তাঁর দাদু-ঠাকুমা রামদেবের যোগাশ্রমে বেড়াতে গিয়ে শুনেছিল রোগ নিরাময়ে যোগ ব্যায়ামের উপকারিতা কথা। এদিকে সৌমজিৎ’এর বাবাও ডাক্তারের কাছ থেকেও সেই একই পরামর্শ পেয়েছিলো। তাই ঠাকুমা ও ডাক্তারের পরামর্শ মেনে প্রথমে আঞ্চলিক যোগা শিক্ষক-শিক্ষিকার প্রশিক্ষণ নিলেও পরবর্তীতে দেশে-বিদেশে নানান শিক্ষাগুরুর কাছ থেকে অনলাইনে প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করে সে।


অচিরেই ছোট্ট সৌম্যজিৎ বিভিন্ন আঞ্চলিক অনুষ্ঠানে ও প্রতিযোগিতায় যোগভ্যাসে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করে ছোট বড় পুরস্কার জয় করতে শুরু করে। এখন লকডাউনের এই পিরিয়ডে বাইরে বেড়নো মানা, তাই ঘরে বসেই সে অ্যাপ্লাই করে হিরণ্যগর্ভ যৌগিক এন্ড বৈদিক ইনস্টিটিউটের আয়োজিত অনলাইন যোগা কম্পিটিশনে।
ওই অনলাইন যোগা কম্পিটিশনে প্রথমে স্টিল ছবি পরবর্তীতে ভিডিও এবং তারও পরবর্তীতে অনলাইনে বিচারকদের উপস্থিতিতে সকল প্রতিযোগিদের একইসাথে পারফরম্যান্স করতে বলা হয়েছিল। সেই দক্ষতার ও পরিবেশনার ভিত্তিতে পাঁচটি বিভাগের পুরুষ এবং মহিলা মিলিয়ে মোট দশটি ইভেন্টে প্রথম,দ্বিতীয় ও তৃতীয়দের পুরস্কৃত করে তারা। আর সেই সারভারত ব্যাপী প্রতিযোগিতার পুরস্কার গত পরশু কুরিয়ারের মাধ্যমে সৌম্যজিতের হাতে এসে পৌঁছেছে।
কুরিয়ারের খামবন্দী মেডেল এবং প্রথম স্থান অধিকারী হিসাবে সার্টিফিকেট পেয়ে ছোট্ট সৌম্যজিতের সাথে সাথে আপ্লুত গোটা নাথ পরিবার। এই জয়ের প্রসঙ্গে ছোট্ট স্বপ্নজিত জানায় তার যোগ ব্যায়াম করতে খুব ভালো লাগে। এই যোগ ব্যায়াম করেই সে দেশ-বিদেশে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারে সেই সাথে দেশ বিদেশের অনেক নতুন বন্ধু ও মানুষের সাথে পরিচয় হয়। পুরস্কার জিতলে পড়ে তা পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে একসাথে ভাগ করে নিয়ে আনন্দ পাওয়া যায়।