দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: লক ডাউনের পীড়নে চাপ সর্বব্যাপী,চাপের কাছে নতি স্বীকার করে আত্মহত্যাও করছে মানুষ তথাপি শোষণ কমছে না। সেই সাথে মানুষের জীবন জীবিকা খর্ব করা হচ্ছে। বারাসাতের হকার দের দাবীও এরকমই। উত্তর চব্বিশ পরগণার হৃদয় পুর রেল স্টেশনের হকার দের ক্ষোভ মিশ্রিত হতাশার বহিঃপ্রকাশ ঘটল শুক্রবার এই পথ ধরেই।
স্টেশন হকার দের বক্তব্য, তাঁদের বাঁচার অধিকার সংকুচিত। হৃদয়পুর প্লাটফর্ম হকার রা শুক্রবার মিছিল করলেন, বিক্ষোভ দেখালেন, বৃহত্তর আন্দোলনের আহ্বান বার্তা রাখলেন।
শুক্রবার সকালে হৃদয়পুর রেল স্টেশনে প্ল্যাটফর্মের উপরে দোকান খোলায় আরপিএফ জওয়ানরা প্ল্যাটফর্মের হকারদের দোকান বন্ধ করে দেয় এবং পাঁচজন হকারকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে।
এর পরেই হৃদয়পুর স্টেশন এর হকাররা সম্মিলিতভাবে মিছিল করে এসে বারাসাত আরপিএফ থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। হকারদের দাবি কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন রেল নীতি অনুযায়ী আরপিএফ ও জি আর পি দের নির্দেশিকা অনুযায়ী দৈনিক পাঁচটি করে মামলা দিতে হবে দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট থানা গুলিকে। সেই মতই নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে আরপিএফ ও জিআরপি থানার পুলিশ।
হকারদের এও অভিযোগ এভাবে দৈনিক মিথ্যা মামলায় জেল খাটছে বহু হকার। করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনের কারণে গত ৭ মাস ধরে সমস্ত লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকায় রেল নির্ভর হকারদের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পূর্ণ বন্ধ। রুটি রুজির টানে কেউ কেউ পেশা ও বদল করেছে। কিন্তু যাদের বিকল্প রুটি রুজির ব্যবস্থা হয়নি তারাই এই স্টেশনগুলির দোকানে বসে আছে। ফের লোকাল ট্রেন চালু হলে আবার দুটো টাকার মুখ চোখে দেখবেন হকাররা। কিন্তু সেই আশায়ও জল ঢালছে আরপিএফ জওয়ানরা। তাঁদের বক্তব্য তাঁদের দাবী যদি না মেনে নেওয়া হয় তাহলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন।