দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার সাথে সাথেই নদীয়ার বিভিন্ন থানা এলাকার পুজো উদ্যোগীদের নিয়ে আলোচনা সভা সম্পন্ন হল আজ। গতকাল পূজো সংক্রান্ত মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার সাথে সাথে তৎপর হয় জেলার বিভিন্ন থানা। এই মর্মে শান্তিপুর থানার উদ্যোগে থানা প্রাঙ্গণেই রবীন্দ্র নজরুল মঞ্চে শান্তিপুর থানার অধীনস্থ ৩৭ টি রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত ক্লাব এবং ৫৫ টি বারোয়ারি পুজো কমিটিকে নিয়ে আয়োজিত হলো এই বিশেষ বৈঠক।
এলইডি স্ক্রিনে মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ এর সম্প্রচার শুনিয়ে ওসি সুমন দাস জানান বিভিন্ন বাধা নিষেধ এবং সুবিধা সম্বলিত সরকারি নির্দেশের কথা। বিগত দিনে পুজোর জন্য বরাদ্দ ছিল ২৫ হাজার টাকা, সেটাই এ বছর বেড়ে হয়েছে ৫০ হাজার টাকা।
এই বৈঠকে আরও জানান হয় যে ১০ বছর পুজো করেছেন অথচ এখনও রেজিস্ট্রেশন হয়নি এমন ক্লাব বারোয়ারিগুলির ক্ষেত্রে অতিসত্বর অনলাইন রেজিস্ট্রেশন সহযোগিতা নিতে হবে। পুজোর আলোকসজ্জাতে ব্যবহৃত বিদ্যুতের মাশুলে ৫০% ছাড় দেবেন রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ। দমকল বিভাগ, পৌর বা পঞ্চায়েত করও সম্পূর্ণ ছাড়।
তবে এবার ক্লাব ও বারোয়ারি গুলিকে পুজো কার্নিভাল বা যেকোনো রকম শোভাযাত্রা থেকে বিরত থাকতে হবে। সমালোচকরা যাই বলুক প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায় এই অর্থ বন্টিত হয় প্যান্ডেল, লাইট মাইক,ঢাকি, পুরোহিত, ফল বিক্রেতা, মৃৎশিল্পী, প্রতিমা সজ্জা শিল্পী সহ বেশকিছু মানুষের মাঝে। তবে উৎসবের মেলায় দোকান না দিতে পারা হকারদের ২০০০ টাকা সহযোগিতার ব্যাপারে শোনা গেলেও পাকা নির্দেশ আসেনি এখনো।