দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: দেশের মঞ্চে ফের বাংলার জয়। বিজ্ঞান গবেষণায় দেশের সর্বোচ্চ সন্মান ‘ভাটনগর’ পুরষ্কারে পুরষ্কৃত হলেন বাঙালি বিজ্ঞানী। প্রতি বছরের মতো এ বছর ও “কাউন্সিল ফর সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের” (CSIR) প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে “শান্তি স্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার” দেওয়া হয়েছে।
প্রতি বছরের মতো এ বছরও দেশের নানা প্রান্ত থেকে বারো জন বিজ্ঞান প্রতিভাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। আর তাদের মধ্যেই জায়গা করে নিয়েছেন ৫ জন বাঙালী বঙ্গসন্তান। যাদের মধ্যে কলকাতার ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিকাল ইনস্টিটিউটের একজন মহিলা বিজ্ঞানীও রয়েছেন।“ফেলুদা” কিটের জন্য বাংলার এক তরুণ বিজ্ঞানীর হাতে আসছে এই সম্মান। শুধুমাত্র এই বিষয়ে নয় এই সন্মান জীববিদ্যা, পদার্থবিদ্যা, গণিত সব মিলিয়ে মোট ১৭টি বিষয়ের উপর দেওয়া হচ্ছে।
বাংলার “বিজ্ঞান ভবন” কাউন্সিল ফর সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে প্রতি বছরের মতো এবছরও শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার জয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এদের মধ্যে যে ৫ জন বাঙালি সন্মানে ভূষিত ছিলেন তাঁরা হলেন, বায়োলজিক্যাল সায়েন্সে সৌমেন বসাক, ফিজিক্যাল সায়েন্সে তাপসকুমার মাজি, অ্যাটমোস্ফিয়ারিক সায়েন্সে সুবিমল ঘোষ, ফিজিক্যাল সায়েন্সে শঙ্কর ঘোষ এবং অনিন্দ্য সিনহা। এদের কারোরই বয়স ৪৫ বছরও পেরোয়নি।
‘ভাটনগর’ পুরস্কার স্বরূপ এঁরা প্রত্যেকেই পেয়েছেন ৫ লক্ষ করে টাকা ও স্মারক। এই পুরস্কার প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের ডিরেক্টর শেখর মান্ডে বলেন, “ভারতের এই সম্মানীয় পুরস্কার বিজ্ঞান বিভাগে এক আলাদা মর্যাদা দেয়”। যদিও শুধু এবছর নয় গত বছরও রসায়নে ‘ভাটনগর’ পুরস্কার জিতেছিলেন দুই বঙ্গসন্তান। তাঁরা হলেন স্বাধীন মণ্ডল এবং রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দুজনেই মোহনপুরের ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট ফর সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ’ (আইসার-কলকাতা)-এর ডিপার্টমেন্ট অফ কেমিক্যাল সায়েন্সেসের অধ্যাপক।
আরও পড়ুন: বাঙালি বিজ্ঞানীদের অবদানে ফেলুদার নতুন কীর্তি ‘কলকাতায় করোনা’, ওয়েব সিরিজ নয় কিন্তু
তবে এবারের বিশেষ আকর্ষণ ফেলুদা কীট। এটি মূলত করোনা ভাইরাস সংক্রমণ খুঁজতে ব্যাবহৃত হবে। এর আগে আবশ্যি করোনা টেস্ট করার জন্য ছুটতে হত করোনার হসপিটালগুলিতে, তাতে খরচাও ছিল বেশী সাথে সংক্রমিত হবার ভয়ও। অবশেষে এই সমস্যার সমাধা হলো। সিএসআইআর (CSIR) বেশ কয়েকদিন আগেই আবিষ্কার করেন টাটার এই “ফেলুদা”কে। এটি দ্রুত এবং খুব সহজে সঠিক করোনার রিপোর্ট আসতে সাহায্য করে। দাম মাত্র ৫০০ টাকা।
যে আবিষ্কারকের হাত ধরে ‘ফেলুদা’ আসল তিনি হলেন বাংলার তরুণ গবেষক ড. দেবজ্যোতি চক্রবর্তী। আইসিএমআরের মতে, এই কিট ৯৬ শতাংশ সংবেদনশীল ও ৯৮ শতাংশ নির্দিষ্ট ফলাফল প্রদর্শন করে।