দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: এই প্রথম নদীয়ার শান্তিপুরে পাঁচ শতাধিক বছরের পুরোনো শ্রী শ্রী আগমেশ্বরী পুজোর চলে আসা প্রচলিত প্রথাতে বেশকিছু পরিবর্তন আনলেন পুজো কমিটি। সূত্রের খবর, এই বছর করোনা সতর্কতায় শ্রী শ্রী আগমেশ্বরী মাতা পূজার চিরাচরিত রীতি ভেঙে যে সব বিধি নিষেধ মেনে পুজো হবে। সেই ক্ষেত্রে পুজোর পদ্ধতিতেও বেশ কিছু পরিবর্তন ঘটেছে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে মাতৃ প্রতীমার উচ্চতা একই থাকলেও ভক্তদের কাছে কোনো ধরণের পুজো নেওয়া হবেনা, প্রতিবার যে ১৪ কুইন্টাল ভোগ হয় এবার তা হবেনা। করোনা পরিস্থিতিতে ভোগ প্রসাদ এবং কাটা ফল দেওয়া হবেনা, অঞ্জলী নেওয়া হবেনা, মানত কারীদের ধুনো পোড়া ও বলির রক্ত দেওয়া হবেনা। তবে কেউ যদি একান্তই পুজো দিতে ইচ্ছুক তবে তা আগের দিন মন্দিরে জমা করে দিতে হবে।
এছাড়াও মন্দির কমিটি জানিয়েছে যে যদি কেউ বস্ত্র, গহনা, এবং শুকনো ফল দিতে ইচ্ছুক সেটা গৃহীত হবে। তবে বস্ত্র ও গহনা স্যানিটিইজ করে দিতে হবে।
এবার প্রতিমা দর্শনের ক্ষেত্রেও লাগু হয়েছে বেশ কিছু বিধি নিষেধ। মণ্ডপ প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে কোনভাবেই ঠাকুর দেখা যাবেনা, নির্দিষ্ট পথ ধরে ধর্শনার্থীদের এগিয়ে চলার গতি চলমান রাখতে হবে। কোথাও ভিড় করা যাবে না। মন্দির চত্ত্বরে ঢোকার সময়ে অবশ্যই মুখে থাকতে হবে মাস্ক।


এবার প্রতিমা বিসর্জন হবে বিকেল ৪ ঘটিকায়। যদিও প্রতি বছরের মত একই পথ ধরে আগমেশ্বরী মাতা নিরঞ্জনের পথে যাবেন মন্দির কতৃপক্ষ। কিন্তু নিরঞ্জনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে মুখে মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যাবহার করতে হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,গত বছর একমাত্র এই পুজো কমিটিই পূজো সংক্রান্ত বিষয়ে সমস্ত রকম প্লাস্টিক বর্জন করে। তাদের কথায় ভক্তবৃন্দ অর্থাৎ সন্তানের মঙ্গল সাধিত হলে তবেই খুশি থাকেন মা। তাই করোনা আবহই এ ধরণের বেশ কিছু সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের অন্যতম কারণ।