দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: হাই কোর্ট থেকে রাজ্যের আজ খালি হাতেই ফিরতে হলো উপরন্ত শুনতে হলো ভর্ত্সনা। উল্লেখ্য, পাঁচিল দিয়ে বিশ্বভারতীর মাঠ ঘেরার ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে রাজ্য উচ্চ আদালতে আবেদন করেছিল। সেই দায়ের করা আবেদনে কোনও সারা বা নির্দেশ দিল না হাইকোর্ট। উল্টে আদালতের তরফে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘পেশিশক্তি’র প্রয়োগ করে আদালতের রায় কার্যকর করতে বাধা দেওয়া হলে প্রধান বিচারপতি চরম পদক্ষেপ নিতে পারেন। অন্যদিকে এদিন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত আদালত গঠিত চার সদস্যের কমিটি থেকে অব্যহতি চেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে এই সোমবার থেকে বিশ্বভারতীর পৌষমেলার মাঠ ঘেরার কাজ ফের শুরু হয়েছে। আবার এই কাজ বন্ধ করার জন্যে এলাকায় বিক্ষোভ দেখান বেশ কিছু স্থানীয় মানুষ। এবার অশান্তি’র পথে না হেঁটে এলাকায় বাউল গানের সুরে গান গেয়ে পাঁচিল তোলার প্রতিবাদ করেন তাঁরা। যদিও বিক্ষোভ হতে পারে আঁচ করে তা সামাল দিতে জলকামান তৈরি রেখেছিল প্রশাসন। তবে বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ থাকায় তা আর ব্যবহার করতে হয়নি। সূত্রের খবর, বিক্ষোভ বাড়লে বা অশান্তি’র বাতাবরণ তৈরি হলে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারির আবেদনও করতে পারে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
সোমবারই কলকাতায় আদালতে পাঁচিল তোলার ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে রাজ্য সরকারের দায়ের করা মামলার শুনানি ছিল। প্রধান বিচারপতি টিবি রাধাকৃষ্ণণের ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি হয়। যদিও আদালত সেই নির্মাণ কাজ বন্ধ করার ওপরে কোনো স্থগিতাদেশ দেয়নি। উলটে আদালতে এখন বিচারপতি বনাম রাজ্য’র লড়াই জারি। বিচারপতিরা জানিয়েছেন, পৌষ মেলা মাঠে পাঁচিল তুলতে দরকারে বুলেটের মুখোমুখি হতে তৈরি তাঁরা। পেশী শক্তি বা গায়ের জোরে এভাবে আদালতের রায় কার্যকর করতে বাধা দান মেনে নেওয়া অন্যায়।
তবে এর পাশাপাশি ‘পৌষ মেলা’ বন্ধে গ্রিন ট্রাইব্যুনাল যে নির্দেশ দিয়েছে তা পুনর্বিবেচনা যোগ্য বলে আদালত জানিয়েছে। আদালতের তরফে রাজ্যকে জানানো হয়েছে যে, বিশ্বভারতী একটি ঐতিহ্যমণ্ডিত সংস্থা। সুতরাং তার ভাল মন্দ বিচার বিবেচনা করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।
যদিও এদিন আদালত গঠিত ৪ সদস্যের কমিটি থেকে অব্যহতি চেয়েছেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। তাঁর আবেদন খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আবেদনে তিনি কী লিখেছেন যদিও তা অনুমেয় নয়। এই ঘটনায় মূল মামলার শুনানি রয়েছে আগামিকাল। আগামী কাল আদালত কী নির্দেশ দেয় সেদিকেই তাকিয়ে সব পক্ষ।