দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: আজ থেকে টানা ১৮ দিন লোডশেডিং এর চিন্তা নেই। কারণ ১ অক্টোবর থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সিইএসসি এবং ডব্লুউবিএসইবি–কে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় টুইট করে বলেছেন আজ।
উল্লেখ্য, এই নতুন নির্দেশিকার পেছনে বড় কারণ, বৃহস্পতিবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা এবং টার্মিনাল সেমিস্টার পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। নতু অনলাইন নিয়মে শিক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র ডাউনলোড করতে হবে এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করে উত্তরপত্রগুলি আপলোড করতে হবে। তাই রাজ্য সরকার বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাগুলিকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ বজায় রাখতে বলেছে।
প্রসঙ্গত: বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (UGC) যে ১৮ অক্টোবরের মধ্যে সব পরীক্ষা সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছিলো পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। সেই কারণেই কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে চূড়ান্ত বর্ষ পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে রাজ্য। পরীক্ষা নেওয়া হবে অনলাইন উপায়ে। তবে এই নতুন নিয়মে সমস্যায় পড়েছেন প্রত্যন্ত গ্রামে বাস করা শিক্ষার্থীরা। কারণ, বিশেষত সুন্দরবনের প্রত্যন্ত দ্বীপের কিছু গ্রামে ইন্টারনেট সংযোগ অত্যন্ত দুর্বল। সেই সাথে ওই সব অঞ্চলে দফায় দফায় লোডশেডিং ও হয়ে থাকে।
এই সমস্যা দূর করতে শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘কয়েকটি গ্রাম এবং শহরে ইন্টারনেট সংযোগ দুর্বল হওয়ায় শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কলেজগুলিতে উত্তরপত্রগুলি জমা দেওয়ার বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের কলেজের কাছাকাছি কোথাও পরীক্ষা দিতে বলা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের যদি তাতেও কোনো অসুবিধা হয় তবে তাঁদের সাহায্য করার জন্য কর্মকর্তা এবং শিক্ষকরা সেখানে উপস্থিত থাকবেন।
সেই সাথে অ্যাপেক্স এডুকেশন বডি (AEB) রাজ্য সরকারকে অনুরোধ করেছে যাতে অক্টোবরের শেষের দিকেই রেজাল্ট প্রকাশ করা যায়, তা হলে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি প্রোগ্রামে শীঘ্রই ভর্তি শুরু করা যাবে। যদিও ইতিমধ্যে পরীক্ষা পর্ব শেষ করে রেজাল্ট প্রকাশ করে দিয়েছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ।