দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: পাহাড় ও তরাই-ডুয়ার্সের ৫ জেলার জন্য একগুচ্ছ প্রকল্প ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গ সফরের তৃতীয় দিন বাগডোগরা বিমানবন্দরের সম্প্রসারণের জন্য জমি হস্তান্তর করেন মুখ্যমন্ত্রী। জলপাইগুড়িতে শিলান্যাস করেন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের। এর পাশাপাশি উত্তর বঙ্গে বসবাসরত বিভিন্ন সম্প্রদায়ের উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দও করেন মুখ্যমন্ত্রী।
তবে এই কাজ করতে মুখ্যমন্ত্রীকে হিল্লিদিল্লি করতে হয় নি। এদিন দূরনিয়ন্ত্রিত (Remote cntrol) ব্যবস্থার সাহায্যেই তিনি জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের শিলান্যাস করেন। সেই সাথে বাগডোগরা বিমানবন্দরের সম্প্রসারণের জন্য ১০৪ একর জমির কাগজ তুলে দেন বিমানপত্তন প্রাধিকরণের হাতে। এই সম্প্রসারণের কাজ শেষ হলে বাগডোগরা বিমানবন্দরের বিমান চলাচল ও যাত্রী ধারণের ক্ষমতা আরও বাড়বে বলে জানান মমতা ব্যানার্জী।
এছাড়া গতকাল ১৬১ জন আত্মসমর্পণকারী কেএলও জঙ্গিকে হোমগার্ডের চাকরিতে নিয়োগ করেন রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পুলিশ মন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। তবে এত কিছু উপহার দেওয়ার শেষেও মুখ্যমন্ত্রী’র গলায় ছিল আক্ষেপের সুর। তিনি দু:ক্ষ করে বলেন যে, উত্তরবঙ্গের জন্য এত করছি আগেও করেছি তবুও মানুষের সাড়া পাইনি। মুখ্যমন্ত্রী’র ইঙ্গিত যে গত লোকসভা নির্বাচনের ফলের দিকেই সেকথাই তাঁর এই আক্ষেপে জড়িয়ে রয়েছে।
উপরের কাজগুলো ছাড়াও রাজবংশী ভাষা অ্যাকাডেমির জন্য মুখ্যমন্ত্রী ৫ কোটি টাকা অনুদান ঘোষণা করেন। আর এর সাথে ১০ কোটি টাকা অনুদান দেন রাজবংশী উন্নয়ন ও সংস্কৃতি পরিষদকে।
মুখ্যমন্ত্রীর এই কল্পতরু রূপ দেখে বিরোধীরা কটাক্ষ করে বলছে, উনি তো ভোট কিনছেন, থোড়াই মানুষকে ভালবেসে এসব করছেন। ওনার যদি করার ইচ্ছাই থাকতো তাহলে সেটা প্রতিবার ভোটের আগে এসেই মনে পড়ে কেনো। উত্তর বঙ্গের মানুষ ভেটে মন ভেজায় না, তারা ভালোবাসা চায়। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ‘উত্তর বঙ্গের আবহাওয়ার মতই ওখানকার অধিবাসীদের মন’, তাই হাওয়া আদৌ পালটাবে না তৃণমূলের জন্যে বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চলই হয়ে থাকবে সেটা উত্তর দেবে EVM’ই।