দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: আজ থেকে আবারও নদীয়ার শান্তিপুর শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের চর সাড়াগর এলাকায় শুরু হয়েছে গঙ্গা’র ভাঙ্গন। উল্লেখ্য, শান্তিপুর শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের চরসারাগর এলাকার সত্তরের দশক থেকে প্রায় ৩৫০ কৃষক ও মৎস্যজীবী পরিবার বসবাস করেন। প্রতিবছরই বন্যার সময় জল ওঠে ঠিকই! কিন্তু গঙ্গা ভাঙ্গনে তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেনি। তবে আগে বাড়ি থেকে গঙ্গার দূরত্ব ছিল প্রায় এক কিলোমিটার গত বছরে বসতবাড়ি থেকে ৫০ ফুট দূরে চাষের জমির চলে গেছে গঙ্গাবক্ষে! এ বছরে গেল বসতবাড়িও।
আজ দুপুরেও রান্না হয়েছিলো, কিন্তু খাওয়া হলো না, ওই এলাকার ছটি পরিবারের যুগোল বিশ্বাস, দিননাথ বিশ্বাস , শ্যামাপদ বিশ্বাস, তিন নাথ বিশ্বাস এর মতন ছটি পরিবারের গবাদিপশুর ,ঘর ,বসবাসের ঘর, রান্নাঘর সহ সমস্ত কিছু জলের তলায়। আজ দুপুর দুটো নাগাদ গঙ্গা ভাঙ্গন শুরু হলে সকলে মিলে কাগজপত্র সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি জিনিস ঘর থেকে বের করতে পারলেও, বাকি আসবাবপত্র সমস্ত জলের তলায়।
এর আগেও বিঘের পর বিঘে বসতবাড়ি চাষের জমি সহ তলিয়ে যায় শান্তিপুর গঙ্গা তীরবর্তী চৌধুরীপাড়া, টেংরি ডাঙ্গা, বয়রা, চর সারাগর সহ একাধিক এলাকার। সরকারি তরফে যা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল তা প্রয়োজনের তুলনায় সামান্য মাত্র। পনেরো-কুড়ি দিন আগেওদশ-বারোটি পরিবার ভিটেছাড়া হয়ে যায় ওই এলাকা থেকে, মেলেনি কোন সরকারি সুবিধা। অথচ বছরের-পর-বছর সরকারি খাজনা দিয়ে যাওয়া কৃষক আজ এই মুহূর্তে কোথায় থাকবেন! কি খাবেন! খোঁজ নেন নি কেউ !
হ্যাঁ, এমনটাই অভিযোগ জানালেন এলাকাবাসী। তাদের প্রশ্ন সরকারি জায়গা দখল করে বসবাসকারীদের উঠে যাওয়ার জন্য মিলছে পুনর্বাসন! অথচ প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমাদের নিজেদের জমি গঙ্গাবক্ষে তলিয়ে যাওয়ার কোনো ক্ষতিপূরণ মিলবেনা কেনো সরকারের তরফ থেকে?