দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: এবার সরাসরি গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। উল্লেখ্য, সংসদের বাদল অধিবেশনে গোর্খাল্যান্ড নিয়ে লোকসভায় প্রশ্ন তুলেছিলেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা। সেখানে তাঁর উদ্দেশ্য পরিষ্কার ছিল, পশ্চিমবঙ্গ থেকে দার্জিলিং ভাগ করে পৃথক রাজ্য ঘোষণা। আর সেই দাবিকে সমর্থন জানিয়ে টেবিল চাপড়ে ছিলেন বিজেপি’র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। আর সেই ভিডিও সোসাল মিডিয়া মারফত ছড়িয়ে পড়তেই নানা মহলে নানা প্রশ্ন ও বিতর্ক তৈরি হয়।
এবার এ বিষয়ে আলোচনার জন্যে রাজ্যকে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। মোট ৪ জনকে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে যাঁদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব, প্রধান সচিব (জিটিএ ), দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক ও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি। আর উল্লেখযোগ্য ভাবেই সেখানে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ঠিকানা রয়েছে বিমল গুরুংয়ের বাড়ির ঠিকানায়। আগামী ৭’ই অক্টোবর, বুধবার সকাল ১১ টায় দিল্লির নর্থ ব্লকে ১১৯ নম্বর রুমে এই বৈঠক হবে। আর এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিসান রেড্ডি।
প্রসঙ্গত, ২০১’৭র গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনের পর থেকেই পৃথক রাজ্যের দাবি আরও জোড়ালো হয়ে উঠেছে। আর এই ভাবনা কে জিইয়ে রেখেই ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে দার্জিলিং থেকে সংসদে যান রাজু বিস্তা। তাঁর নেতৃত্বে আরও প্রবল হয়ে ওঠে গোর্খাল্যান্ডের দাবি। এই বৈঠকের আগেই এ বছরের জুলাই মাসে কেন্দ্রের তরফে একটি বৈঠকও ডাকা হয়েছিল। যদিও সেটি করোনা মহামারীর কারণে বাতিল হয়ে গিয়েছিল।
এই নতুন করে বৈঠক ডাকার বিষয়ে তৃণমূল নেতা গৌতম দেবের দাবি, ‘বিজেপি বাংলা ভাগের ষড়যন্ত্র করছে। আর বিজেপির এই চক্রান্ত কোনোভাবেই সফল হতে দেওয়া যাবে না।’ যদিও এই বিষয়ে ভিন্ন মত রাজ্য বিজেপি’র সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর। তিনি জানান, রাজনৈতিক ভাবেই দার্জিলিংয়ের মানুষের স্থায়ী সমাধান খোঁজা হচ্ছে। বিজেপি কখনোই বাংলা ভাগ করতে চায় না।