দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: হাওড়া ও শিয়ালদহ ডিভিশনে এই মূহুর্তে লোকাল ট্রেন চালু হওয়া ভিশনভাবে জরুরী। লকডাউন উঠে আনলকের পঞ্চম ফেজ শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে খুলছে সব। কিন্তু লক্ষ্য করলে দেখতে পাওয়া যাবে, এ সবই কিন্তু উচ্চ মধ্যবিত্তদের মন রাখার পালা। কিন্তু যারা রোজ আনে রোজ খায়? তাদের বিষয়ে কেউ ই ভাবছেন না, না সরকার না রেল।
একটু লক্ষ্য করলেই দেখতে পাই, শহর জুড়ে আবার ভোটের ভজন শুরু হয়েছে। মূল গানে ঢোকার আগে সংলাপের মত একটু একটু করে জমায়েত বাড়ছে। সেখানে কিন্তু করোনা’র ভয়, বিধি প্রায় কিছুই মানছে না কেউ। প্রশ্ন একটাই, পরীক্ষামূলকভাবে তিনদিন ট্রেন চালিয়ে দেখা হোক। কিংবা রেল একটা ব্লু-প্রিণ্ট তৈরি করুক। যেমনটা আমার মেট্রোরেল চালুর ক্ষেত্রে দেখতে পাচ্ছি। এই মূহুর্তে মানুষের কাছে এটা আর অপরিচিতও নয় যে কী করতে হবে কী না। প্রত্যেক স্টেশনে রেলপুলিস রয়েছে। তাদের ওপর দ্বয়ত্ব দেওয়া হোক, ভিড় সামলানোর। বা বিশেষ অনলাইন টোকেন দেওয়া হোক। কামরা ভাগ করে দেওয়া হোক। দুদিন মানুষের বুঝতে সময় লাগবে কিন্তু তিন দিনের দিন মানুষ কিন্তু অভ্যস্ত হয়ে যাবে।
লোকাল ট্রেন শুধু মানুষ বহন করে না, বহন করে বহু লক্ষ লক্ষ পেট ও। রেলের সাথে রুজি নিয়ে জড়িত মানুষের সংখ্যাটা প্রায় ১ লক্ষের কাছাকাছি হবে। রেল এর বক্তব্য রোজ প্রায় ২৯ লক্ষ লোক যাতায়াত করেন। কিন্তু এটাও জাতীয় বিপর্যয় ধরে ১ লক্ষ পুলিশ নিযুক্ত কী করা যায় না? জাপানে মেট্রো রেলে ভিড় সামলানোর জন্যে বিশেষ পুলিশ রয়েছে। আমাদের এখানেও হো
তাহলে উপায়! হ্যাঁ, রেল একটা কাজ করতে পারেন, সকাল বিকেলে ভেন্ডর বা ব্যবসায়ী স্পেশাল লোকাল চালাতে পারেন। যেখানে বিশেষ ই-কার্ড থাকলেই তবে টেনের টিকিট কাটতে পারবেন ও স্টেশনে ঢুকতে পারবেন মানুষ। এতে অন্তত এই যে অগ্নিমূল্য সবজি, মাছ , মসলা বা আশপাশের দোকানের জিনিস, তাতে দাম একটু নামবে। আর রুজি রোজের যায়গাটাও কিছুটা সামাল দেওয়া যাবে। দিনে যদি ১০ টা লোকাল চলে তাতে যে মানুষ গুলো চাষ বাস বা রিসেলিং করেন তারা অন্তত আমাদের গ্রামীণ ও মফস্বলের অর্থনীতিতাকে কিছুটা হলেও চাঙ্গা করতে পারবে।
তবে পুজোতে লোকাল চালু হওয়ার এই মূহুর্তে কোনো সম্ভাবনা নেই জানিয়েছে রেল, কিন্তু এই ভীতি যদি দীর্ঘকালীন হয় তাহলে পশ্চিমবঙ্গের মত কাঙাল রাজ্য মনে হয় দেশের মানচিত্রে দুটি মিলবে না। আমাদের সাধারণ নিত্য যাত্রী হিসেবেই এই নতুন নিয়ম চালুর জন্যে জনমত গড়ে তোলা ভিশনভাবে জরুরী। আর জনমত গড়ে তুলতে গেলে প্রয়োজন ট্রেণ্ডে থাকা। তাই ট্রেন্ড করুন #openlocaltrainsavelife। এই ট্রেন্ড বেঁচে থাকার জন্যে। এই ট্রেন্ড বাঁচিয়ে রাখার জন্যে হোক।