দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ বাংলা সাহিত্যের জীবিত লেজেন্ড এর হাত ধরে আরো একবার সমৃদ্ধ হলো সাহিত্য ভান্ডার। এ বছর অ্যাকাডেমির সর্বোচ্চ সম্মান সাহিত্য অ্যাকাডেমির ‘ফেলো’ নির্বাচিত হলেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়।
শিশু থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক সবার কাছে সমান জনপ্রিয় শীর্ষেন্দু। অবলীলায় লিখেফেলেন সব বয়সের পাঠকের মনের খবর। ১৯৬৭ সালে উপন্যাস ‘ঘুণপোকা’ তার প্রথম প্রকাশিত বই। প্রথম উপন্যাসেই জায়গা করে নিয়েছিলেন পাঠকের মনে।




কবি সুবোধ সরকার, সাহিত্য অকাদেমির বাংলা উপদেষ্টা পর্ষদের অন্যতম সদস্য, ফেসবুক পোস্টে অভিনন্দন জানিয়েছেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়কে। তিনি লিখেছেন, “শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় সাহিত্য অকাদেমির সবচেয়ে বড় সম্মানে ভূষিত হলেন আজ। তিনি অকাদেমির ‘ফেলো’ নির্বাচিত হয়েছেন। সঙ্গে আরও সাতটি ভাষা থেকে আরও সাত জন ভারত বিখ্যাত লেখককে সম্মান জানাল সাহিত্য অকাদেমি। যেমন রাসকিন বন্ড আছেন, তেমনি আছেন বালচন্দ্রন নেমাড়ে। একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে শীর্ষেন্দুদার হাতে অকাদেমি এই সম্মান তুলে দেবে। বাংলায় সুভাষ মুখোপাধ্যায় নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী শঙ্খ ঘোষ-এর পর অনেকদিন বাদে আবার একজন কথাসাহিত্যিক ফেলো নির্বাচিত হলেন। শীর্ষেন্দুদা, আপনার সম্মানে আমরা আজ সম্মানিত।”
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের সৃষ্টি অমর সাহিত্যের মধ্যে মানবজমিন, দূরবীণ, গয়নার বাক্স, পার্থিব, গুহামানব, খুদকুঁড়ো, কাগজের বউ, উপন্যাস গুলি কালজয়ী। শিশু মনে প্রভাব বিস্তার করেছেন তিনি ‘গোঁসাইবাগানের ভূত’, ‘মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি’ বা’ ‘পাগলা সাহেবের কবর’, ‘পাতালঘর’-এর মতো চমকপ্রদ কাহিনী গুলি সৃষ্টির মাধ্যমে। ১৯৩৫ সালে ওপার বাংলার ময়মনসিংহে জন্ম শীর্ষেন্দু বাবুর। ৮৫ বছর বয়সী এই লেখক এখনো সমৃদ্ধ করে চলেছেন বাংলা সাহিত্যকে।


উপন্যাস, ছোট গল্প, কবিতা সঙ্কলন, কিশোর সাহিত্য এবং রচনা মিলিয়ে ৩০০ র বেশি লেখা প্রকাশিত হয়েছে তার। পেয়েছেন বহু সম্মানও। মানবজমিন-এর জন্য পেয়েছেন সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার। শিশুদের জন্য লিখে পেয়েছেন বিদ্যাসাগর পুরস্কার। দুবার আনন্দ পুরষ্কার ও পেয়েছেন তিনি।২০১২ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছ থেকে তিনি পেয়েছেন বঙ্গবিভূষণ পুরস্কার।
তবে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, সুকুমার সেন, শঙ্খ ঘোষ, অন্নদাশঙ্কর রায়, আশাপূর্ণা দেবী এবং নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী পর এই বিশেষ ‘ফেলো’ সম্মানের পাতায় এ বার আরও একটি পালক জুড়লেন শীর্ষেন্দু মুখপাধ্যায়। বর্তমানে তিনি অসুস্থ, তাড়াতাড়ি তিনি সুস্থ হয়ে উঠুন। বাঙালিকে আরও সমৃদ্ধ করুক তার কলম।
লেখা – তানিয়া তুস সাবা