দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
লক্ষ্য স্থির ছিল। বড় হয়ে বাবার মতো ডাক্তার হওয়া। বাবার সঙ্গে অস্ত্রোপচারে যোগ দেওয়া। বিয়ের আগের দিন সেই স্বপ্নপূরণ হল প্রিয়ঙ্কা সাহার। চিকিৎসকের মৌলিক ধর্ম পালন করে পর দিন বিয়ের কয়েক ঘণ্টা আগে রোগীকে দেখতেও গেলেন প্রিয়ঙ্কা। বাবা মাখনলাল সাহা এসএসকেএম হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান ছিলেন। মাসখানেক আগেই অবসর নিয়েছেন তিনি। ছোটখাটো অস্ত্রোপচারের সময় মেয়ে ছিলেন বাবার সঙ্গে। বড় জটিল অস্ত্রোপচারের সময় বাবার সঙ্গে থাকার সুযোগ আসেনি।
বর্তমানে ভুবনেশ্বরে AIIMS- র চিকিৎসক প্রিয়ঙ্কা। বিয়ের জন্য সম্প্রতি কলকাতায় এসেছেন। আর চলে এল সেই সুযোগ। প্রিয়ঙ্কার কথায়, ‘‘হঠাৎ এই ভাবে সুযোগ চলে আসবে ভাবিনি। অস্ত্রোপচার দু’দিন আগেই হওয়ার কথা ছিল। তার পর শুক্রবার সকালে সেটা হল।’ রাণীকুঠির একটি বেসরকারি হাসপাতালে এক রোগীর শরীরে টিউমারের জটিল অস্ত্রোপচারের জন্য মাখনলালবাবুর সাহায্য চেয়েছিলেন তাঁর সতীর্থ চিকিৎসক দীপঙ্কর সরকার। মেয়ে সিদ্ধান্ত নেন, অস্ত্রোপচারের সময় বাবার সঙ্গে থাকবেন। শুক্রবার সকালে হাসপাতালে গিয়ে অস্ত্রোপচার সেরেছেন প্রিয়ঙ্কা। বাবা-মেয়ে মিলে রোগীর পেট থেকে বার করেছেন প্রায় ১০ কেজি ওজনের টিউমার।
মাখলনালবাবু বলছেন, ‘‘মেয়ে এক জন চিকিৎসকের ধর্ম পালন করল। বাবা হিসেবে নয়, এক জন চিকিৎসক হিসেবে বলতে চাই আমি। শনিবার বিয়ের কয়েক ঘণ্টা আগেও ওই রোগীকে দেখে এসেছে। রোগীও এখন বিপদমুক্ত। ভাল আছেন। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেছিলেন প্রিয়ঙ্কা। সার্জারিতে স্নাতকোত্তরের পড়াশোনার জন্য তার পর গিয়েছেন মুম্বইয়ে। ভুবনেশ্বরের এমসে অঙ্কো-সার্জারি নিয়ে গবেষণা করছেন তিনি।