দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
পশ্চিমি ঝঞ্ঝা বিদায়ের পথে। ধীরে ধীরে নামবে রাজ্যের তাপমাত্রা। বাড়বে শীতের প্রকোপ।বিভিন্ন সময় রাজ্যজুড়ে হচ্ছে বৃষ্টি। কোথাও মুষলধারে, কোথাও আবার ঝিরঝিরে। সতর্ক করছেন চিকিৎসকরা। জনস্বাস্থ্য আধিকারিক অনির্বাণ দলুই জানান, রাতের দিকে শীত শীত। দুপুরে রোদের আঁচ, এই তাপমাত্রায় ভাইরাস-ব্যাকটিরিয়াদের পোয়াবারো। চিকিৎসকদের সতর্কবাণী, তাপমাত্রার এই দ্রুত পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারে না শিশু এবং বৃদ্ধরা। অনেকেই আক্রান্ত হতে পারেন জ্বর-সর্দি-কাশিতে।
এদিকে করোনার নতুন স্ট্রেন ওমিক্রনের উপসর্গও এক! তাহলে করোনা হয়নি বোঝা যাবে কেমন করে? আতঙ্কে চিন্তা বাড়ছে আমজনতার। চিকিৎসক অনির্বাণ দলুইয়ের কথায়, “শীতের মধ্যে আকস্মিক বৃষ্টিতে ফুসফুসের শত্রু ভাইরাসের আক্রমণ বিপদজনক হবে। নাক দিয়ে জল পড়ছে। হাঁপানি রোগীর মতো দফারফা অবস্থা।” চিকিৎসকরা বলছেন, “দু’ধরনের আবহাওয়ায় ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, রাইনোভাইরাস, রেসপিরেটরি সিনসাইটিয়াল ভাইরাসের আঘাতে দেখা যায় ঘনঘন ফুসফুসে সংক্রমণ।”
ডা. অনির্বাণ দলুইয়ের পরামর্শ, “লক্ষ্য রাখতে হবে যেন শিশুদের ঠান্ডা না লাগে। আইসক্রিম, ঠান্ডা পানীয় থেকে দূরে থাকতে হবে। খাবার সবসময় গরম করে খেতে হবে। বৃষ্টিতে কোনওভাবেই মাথা ভেজানো যাবে না।” মশা থেকে বাঁচাতে মশারির ব্যবহার করতে বলছেন চিকিৎসকরা।