দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
১২টি বায়োকেমিক মেডিসিন ও জ্যোতিষের ১২টি রাশির মধ্যে একটা অদ্ভুত সম্পর্ক রয়েছে। বায়োকেমিক মেডিসিন মানে ১২টি সল্ট। আর এই ১২টি ঔষধ নিয়ে গড়ে উঠেছে একটা চিকিৎসা শাস্ত্র। ৩০০ বছরের উপর বয়স এই চিকিৎসা শাস্ত্রের।
আমরা দেখাব কালপুরুষের ১২টি রাশি বা ১২টি জন্ম মাসের সঙ্গে বায়োকেমিকের এই ১২টি মেডিসিনের সম্পর্ক কী। রসায়নগত সম্পর্ক কী ভাবে গড়ে উঠেছে—
(১) মেষ: জ্যোতিষে মেষ বোঝায় মস্তিষ্ক এবং মুখমণ্ডল। মস্তিষ্ক মানব শরীরের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। মস্তিষ্কে রয়েছে হোয়াইট ম্যাটার ও গ্রে ম্যাটার। বায়োকেমিকে ‘কেলি ফস’ হচ্ছে সেই মেডিসিন যা গ্রে বা ধূসর অংশকে কনট্রোল করে।
(২) বৃষ: বৃষ থেকে নিয়ন্ত্রণ হয় থাইরয়েড বা প্যারাথাইরয়েড। পক্ষান্তরে যা নিয়ন্ত্রণ করে লিভার ও অগ্ন্যাশকে। আর এখানকার মেডিসিন নেট্রাম সাল্ফ।
(৩) মিথুন: মিথুন নিয়ন্ত্রণ করে ফুসফুস, কাঁধ, হাত, আঙুল ইত্যাদি। মিথুনের ঔষধ হচ্ছে ক্যালি মিউর। ক্যালি মিউর নিয়ন্ত্রণ করে ফায়াব্রিনকে। হাড় বাদে শরীরের সমস্ত কলাতে থাকে ফায়াব্রিন।
(৪) কর্কট: রবি মানে পিতা, যিনি জীবন দান করে জীবনী শক্তি দেন। আর চন্দ্র মাতা তার পুষ্টি যোগায়, লালন পালন করে। কর্কটের বায়োকেমিক ঔষধ হচ্ছে ক্যাল্কেরিয়া ফ্লোরাইড।
(৫) সিংহ: সিংহের অধীনে হৃদয়। আর সিংহের মেডিসিন হচ্ছে ম্যাগ ফস। ম্যাগ ফস নিয়ন্ত্রণ করে মোটর নার্ভকে। যা পক্ষান্তরে হার্টকে রক্ষা করে।
(৬) কন্যা: কন্যা রাশি মানে ‘হসপিটাল সাইন’। সায়ন মতে এই রাশিতে জন্ম হলে আজীবন রোগ রোগ একটা বাতিক থাকে। আজীবন হজম নিয়ে কম বেশি একটা সমস্যা থেকেই যায়। আর এর ঔষধ হচ্ছে ‘কেলি সাল্ফ’।
(৭) তুলা: তুলা মানে দাঁড়িপাল্লা বা ব্যালান্স। বায়োকেমিক সল্ট ‘নেট্রাম ফস’ হচ্ছে তুলার ঔষধ। এই ঔষধটি ক্ষারকীয় গুণ সমৃদ্ধ।
(৮) বৃশ্চিক: মঙ্গল জন্ম ছকে সক্রিয় থাকলে শরীরের সমস্ত দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যায় এবং রক্ত বিশুদ্ধ থাকে। তাই বৃশ্চিকের বায়োকেমিক সল্ট হচ্ছে ক্যাল্কেরিয়া সাল্ফ। এই ঔষধটি বিশেষ রকমের ‘পিউরিফায়ার’।
(৯) ধনু: ধনুর অধিপতি বৃহস্পতি। এখানকার ঔষধ সাইলেসিয়া। সাইলেসিয়াকে ‘নেচার সার্জেন’ বলে, কারণ কোথাও পুঁজ হলে সাইলেসিয়া ভাল কাজ করে।
(১০) মকর: মকরের অধিপতি শনি। শনি মানেই হাড়। আর হাড় মানেই ক্যালসিয়াম। তাই এখানকার বায়োকেমিক মেডিসিন ক্যাল্কেরিয়া ফসফেট। যা হাড় গঠনে সাহায্য করে।
(১১) কুম্ভ: কুম্ভের জাতকদের রক্ত দূষিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এখানকার বায়োকেমিক সল্ট হচ্ছে ‘খাবারের নুন’ যার রাসায়নিক নাম ‘নেট্রাম মিউর’।
(১২) মীন: মীনের অধিপতি বৃহস্পতি। বৃহস্পতি দুর্বল বা নীচস্ত বা অন্য গ্রহদ্বারা অশুভ হলে ‘অ্যানিমিয়া’ হয়। এর মেডিসিন হল ফেরাম ফস।