দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
কবে, কখন, কোথায় প্রথম দুর্গাপূজো শুরু হয়েছিল–তা সঠিকভাবে কিছু জানা যায় না। এ বিষয়ে নানা মুনির নানা মত রয়েছে।। তবে ইতিহাসের পাতা ঘেঁটে ভারতের দ্রাবিড় সভ্যতায় মাতৃতান্ত্রিক দ্রাবিড় জাতির মধ্যে মাতৃদেবীর পূজার প্রচলন ছিল বলে জানা যায়।। সিন্ধু সভ্যতায় দেবীমাতার, ত্রিমস্তক দেবতা, পশুপতি শিবের পূজার প্রচলন ছিল। দূর্গা শিবের অর্ধাঙ্গিনী হিসাবে অথবা দেবী মাতা হিসাবে পূজা করা হতে পারে। তবে সঠিক কোনও তথ্য পাওয়া যায় না।
তবে মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যে দূর্গাপুজোর উল্লেখ আছে।। মৈথিলী কবি বিদ্যাপতির দূর্গাভক্তিতরঙ্গিনী’তে দুর্গা-বন্দনা পাওয়া যায়। ১৬১০ সালে কলকাতার বারিশার রায়চৌধুরী পরিবার প্রথম দূর্গাপুজার আয়োজন করেছিল বলে উল্লেখ পাওয়া যায়।।পলাশীর যুদ্ধে জয়লাভের জন্য ১৭৫৭ সালে কলকাতার শোভা বাজার রাজবাড়িতে রাজা নবকৃষ্ণদেব লর্ড ক্লাইভের সন্মানে দূর্গাপূজার মাধ্যমে বিজয় উৎসবের আযোজন করেছিলেন। বৃটিশ বাংলায় এই পূজা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে দূর্গাপুজো স্বাধীনতার প্রতীক হিসাবে জাগ্রত হয়।
বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে এই পূজা ঐতিহ্যবাহী বারোয়ারী হিসাবে জনপ্রিয়তা লাভ করে। আর স্বাধীনতার পর এই পূজা পৃথিবীর অন্যতম প্রধান উৎসবের মর্যাদা পায়। বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে দেবী দুর্গার বিভিন্ন রকমের স্বতন্ত্র মূর্তিও চোখে পড়ে। তবে দুর্গার রূপকল্পনা বা কাঠামো বিন্যাসে যতই বৈচিত্র থাকুক, বাংলায় দুর্গোৎসবে প্রায় সর্বত্রই দেবী দুর্গা সপরিবারে পূজিতা হন।