দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ বিজ্ঞানীরা এর আগে পশ্চিম ভারত মহাসাগরে নীল তিমির একটি অনাবিষ্কৃত প্রজাতির প্রমাণ পেয়েছিলেন। এই অঞ্চলের সাউন্ড রেকর্ডিং বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে তারা বলেছিলেন যে পৃথিবীতে বসবাসকারী এই বৃহত্তম প্রাণীদের এই প্রজাতি এর আগে কোথাও পাওয়া যায়নি। যদিও এই অত্যন্ত বিপন্ন স্তন্যপায়ী প্রাণীদের সারা বিশ্বে সব মহাসাগরে পাওয়া যায়। বিজ্ঞানীরা খুব কম পিচ-এর তিমিদের আওয়াজ সংগ্রহ করেছে, গবেষকরা একেই তাদের পরিভাষায় তিমির গান বা ‘হোয়েল সংগ’ বলে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইংল্যান্ড অ্যাকোয়ারিয়াম থেকে একদল গবেষকরা বলেন যে প্রতিটি নীল তিমির জনগোষ্ঠীর নিজস্ব অনন্য গান আছে।
সম্প্রতি জার্নাল এনডেঞ্জার্ড স্পিসিস রিসার্চে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বিজ্ঞানীরা ওমানের আরব সাগর উপকূল এবং মাদাগাস্কারের দক্ষিণে একরকমের নীল তিমির গান খুঁজে পেয়েছেন যা কখনো কোথাও বর্ণনা করা হয়নি। এই বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে গবেষকরা বিশ্বাস করছেন যে তারা পশ্চিম ভারত মহাসাগরে নীল তিমির এক অচেনা প্রজাতিকে আবিষ্কার করেছেন।
আরো পড়ুনঃ পৃথিবীর বাইরে রয়েছে এক বিরাট এলিয়েন সভ্যতা! কিন্তু তারা পাবে না আমাদের সন্ধান
নিউ ইংল্যান্ড অ্যাকোয়ারিয়ামের গবেষণার সহ-লেখক সালভাতোর সার্চিও বলেন যে, একটি তিমির গান খুঁজে পাওয়া খুবই লক্ষণীয় ব্যাপার, এর আগে কখনো এমন গান রিপোর্ট করা হয়নি, এবং এটিকে নীল তিমি হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। গবেষকদের মতে, এর আগে দক্ষিণ-মধ্য ভারত মহাসাগরে শ্রীলংকার বাইরেই একমাত্র নীল তিমির একটি প্রজাতিকে পাওয়া গেছিল। নতুন গবেষণায় দেখা গেছে যে এই দুই অঞ্চলের রেকর্ড করা গান দুটি ভিন্ন গল্প বলছে।
ফাইভ ওশানস এনভায়রনমেন্টাল সার্ভিসেস এলএলসি-এর গবেষণার সহ-লেখক অ্যান্ড্রু উইলসন বলেন যে, “ওমান থেকে আমাদের রেকর্ডিং প্রচেষ্টার আগে আরব সাগর থেকে কোন অ্যাকুস্টিক তথ্য পাওয়া যায়নি, এবং তাই নীল তিমির একটি নতুন পরিচয়কে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়েছিল।”