দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ ইউনিভার্সিটি অফ কানসাসের বায়োডাইভার্সিটি ইনস্টিটিউটের স্নাতক গবেষণা সহকারী জেফ ওয়েইনেল ২০০৬ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ক্ষেত্রসমীক্ষার সময়ক তিনটি সাপ উদ্ধার করেছিলেন। তারপর থেকে তিনটি সাপই ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারেই ছিল। সম্প্রতি, যখন ওয়েইনেল তাদের উপর গবেষণা করছিলেন, তিনি দেখতে পান যে সাপগুলির প্রজাতির কোনো হদিশ কোথাও নথিভুক্ত করা নেই। সরীসৃপগুলো লেভিটোনিয়াস নামে একটি নতুন প্রজাতির এবং সাপটির নামকরণ করা হয়েছে লেভিটোনিয়াস মিরাস।
গত সপ্তাহে পিয়ার-রিভিউ জার্নাল কোপেইয়াতে ওয়েইনেল এবং অন্যান্য বিজ্ঞানীদের এই আবিষ্কার প্রকাশিত হয়েছে। এই সাপগুলি ওয়ারাই বামন বুরোইং সাপ নামেও পরিচিত। গবেষণা অনুসারে, এই সাপ ফিলিপাইনের সামার এবং লেইতে দ্বীপের বাসিন্দা। এই দ্বীপটি নাকি একশ রকম প্রজাতির সাপের আঁতুড়ঘর।
আরো পড়ুনঃ এই ফুলের বয়স নাকি ১০ কোটি বছর!
সাপটির লম্বা এবং সংকীর্ণ একটি খুলি আছে। সাপটিকে ক্ষুদ্র প্রজাতি হিসাবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। ওয়েইনেল তার গবেষণায় বলেছেন যে লেভিতোনিয়াস মিরাস সর্বোচ্চ ৬.৭ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যে পৌঁছায় এবং এটি একটি আকার পেন্সিলের আকারের থেকে একটু বড়।
উইনেল সিএনএনকে দেওয়া একটি সাক্ষাত্কারে বলেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি নমুনাই এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে। এই বছর, পশ্চিম অরুণাচল প্রদেশের জঙ্গলে একটি নতুন প্রজাতির সবুজ ভাইপার পাওয়া গেছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এর নাম করণ করা হয়েছে ত্রিমেরেসুস সালাজার, হ্যারি পটার সিরিজে যে হগওয়ার্টসের একটি কুখ্যাত হাউসের প্রতিষ্ঠাতা সালাজার স্লিথাররিন, তারই নামে এর নামকরণ করা হয়েছে। পটারভক্তরা নিশ্চয়ই জানে যে স্লিথাররিন হাউসের রং ছিল সবুজ এবং লোগোটি ছিল সাপ। সালাজার নিজে একজন পার্সেলমাউথ জাদুকর ছিলেন, সে নাকি সাপের সঙ্গে কথা বলতেও সক্ষম ছিলেন, সেই ক্ষমতা কাহিনির নায়ক হ্যারিরও ছিল।
এই আবিষ্কার জুসিস্টেমিকালস এন্ড ইভোলিউশন-এর একটি নতুন গবেষণাপত্রে প্রকাশিত হয়েছে এবং এই গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন ভারতের ব্যাঙ্গালোরের ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োলজিক্যাল সায়েন্সের গবেষকরা। পত্রিকাটি উল্লেখ করেছে যে “জে কে রাউলিং এর কাল্পনিক হগওয়ার্টস স্কুল অফ উইচক্রাফট এবং উইজার্ডরির সহ-প্রতিষ্ঠাতা সালাজার স্লিথাররিনকে মনে রেখেই করা হয়েছে।” টি সালাজার একই প্রজাতির ট্রাইমেরিসুরুসসে পটেনট্রিওনালাস যার সঙ্গে টি ইনসুলার এবং টি অ্যালবোলাব্রিসের বেশ কিছু মিল পাওয়া যায়। যা ভারতীয় উপমহাদেশ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং চীনে বেশিরভাগ বিষাক্ত ভাইপারের বংশধর।