দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ ” বিপুলা এই পৃথিবীর কতটুকু জানি? ” কাব্য রসের এই পঙ্ক্তির মাহাত্ম যে কতখানি গুরুত্বপূর্ণ তা আর নতুন করে বলার উপেক্ষা রাখে না। কথায় বলে যা চলে গেছে তা সবই অতীত কিন্তু অতীত ই বর্তমানের কাঠামো আর ভবিষ্যতের অভিজ্ঞতা। তাই আজও আমরা বর্তমানে থেকেও সন্ধান করে চলেছি সেই অতীতের দুনিয়ার কথা। কয়েকশো কোটি বছর আগে আমাদের পৃথিবী কেমন ছিল তা নিয়ে তথ্য ও সেই তথ্যানুযায়ী বিতর্কের কোনো শেষ নেই। কিন্তু কৌতুহলী মন কি তাতেই থেমে থাকে? তাই সে নিত্য নতুন রহস্য উদঘাটনে মজে ওঠে। এমনই এক চঞ্চল মনের ফল হলো “হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কেন্দ্র থেকে উঠে আসা নতুন তথ্য যা ডাইনোসরের বিলুপ্তির কারনকে এক নতুন মাত্রা দিতে পারে।
ভুবিজ্ঞানি অ্যান্টিনিও কামারাগো ও গ্লেন পেনফিল্ড পেট্রোলিয়ামের খোঁজে বেরিয়ে আবিষ্কার করেন এক বিশাল গহ্বর যার গভীরে অনেক প্রশ্নের উত্তর ঘনীভূত হয়ে রয়েছে। এই বিশালাকায় গর্তটি মেক্সিকোর পেনিনসুলা অঞ্চলে অবস্থিত। গবেষণা সূত্রে খবর পাওয়া যায় যে আজ থেকে প্রায় ৪৫০ কোটি বছর আগে এই পৃথিবীর সৃষ্টি আর এই সৃষ্টির প্রথম ৫০ কোটি বছর পৃথিবীর মাটি ছিল অত্যন্ত উত্তপ্ত। গবেষণা সূত্রে জানা যায়, যে এই গর্ত থেকে উদ্ধার হওয়া রাসায়নিক গ্যাস ও পদার্থ সবই হল ডাইনোসর এর সমসাময়িক। এছাড়াও ওই গহ্বর এর মধ্যে যে ধুলোর সন্ধান পাওয়া গেছে তার ঠিকানা এই পৃথিবীর বাইরে। অর্থাৎ এক সময় ধূমকেতুর বিস্ফোরণ এ বিভিন্ন গ্রহাণু ও উল্কাবৃষ্টি – র ফলে সেখান থেকে প্রায় অনেক ধরনের মাটির নমুনা পাওয়া গেছে ।


এই ধুলো মাটির স্তরে পাওয়া গেছে ইরিডিয়াম যার সাথে ডাইনোসরের জীবাশ্ম থেকে পাওয়া নমুনার মিল রয়েছে। সূত্রে জানা যায় যে, এই ফাটল তৈরির কারন হচ্ছে কোনো এক প্রবল গ্রহানুখন্ডের পৃথিবীর বুকে আছি পড়া। যার ফলে ভূপৃষ্ঠে তৈরি হয় অনেক ফাটল, মুহূর্তে শেষ হয়ে যায় অনেক প্রাণ। এই উল্কাপিণ্ড গুলির পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে তার থেকে উদ্ধার হয়েছে রাইবোজ গোত্রের বায়ো এসেনশিয়াল সুগার। এছাড়াও পাওয়া গেছে আরবিনোজ ও জাইলোজ সুগার গোত্রের দুটি যৌগ। এছাড়াও পাওয়া গেছে কার্বনের সন্ধান যা প্রাণের উৎসের এক অন্যতম উপাদান। NWA 801 ও মূর্চিসন টাইপ সিম টু ধরনের কার্বন উদ্ধার হয়েছে৷ বেশকিছু গবেষকের মতে এই উল্কাবৃষ্টি এবং বিস্ফোরণের ফলে শেষ পর্যন্ত পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ প্রাণ শেষ হয়ে যায়। যার মধ্যে রয়েছে ডাইনোসররাও। পেনিনসুলার এই গহবর থেকে মেলা নতুন ধরনের এইসব তথ্য আর কি অজানা দিক খুলে দেয় সেদিকেই এখন নজর রয়েছে সকলের।