মঙ্গলের পর শুক্র গ্রহে এবারে প্রানের আশা দেখছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।কিছুদিন আগে,শুক্র গ্রহে খোঁজ মিলেছিল ফসফিন গ্যাসের। তার কিছুদিন পর এবার শুক্র গ্রহে মিললো গ্লাইসিন গ্যাসের উপস্থিতি। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করলো কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়। এই আবিষ্কারের নেপথ্যের নায়ক তিন বাঙালি বিজ্ঞানী যথা,অরিজিৎ মান্না, সব্যসাচী পাল এবং মঙ্গল হাজরা।যার মধ্যে অরিজিৎ মান্না বর্তমানে মেদিনীপুর কলেজে পদার্থবিদ্যায় পিএইচডি-রত।গবেষনার নামকরন করা হয়েছে, দ্যা ডিটেকশন অব সিমপ্লেস্ট অ্যামাইনো অ্যাসিড গ্লাইসিন ইন দ্য অ্যাটমোস্ফিয়ার অফ দ্য ভেনাস।
উল্লেখ্য, কি এই গ্লাইসিন?
স্বভাবত এই গ্লাইসিন হল অ্যামাইনো অ্যাসিড অণু। মূলত প্রাণীশরীরে প্রোটিন তৈরির জন্যে দরকার পড়ে এই অ্যামাইনো অ্যাসিডের। শুক্র গ্রহে গ্লাইসিনের আভাস,শুক্র গ্রহে প্রানের অস্তিত্ব নিয়ে ভাবিয়ে তুলেছে মহাকাশ বিজ্ঞানীদেরও।
শুক্র গ্রহের এই গ্লাইসিন থেকেই নাকি জানা যাবে সেখানকার প্রি-বায়োটিক মিলকিউলের যাবতীয় তথ্য, এমনটাই জানাচ্ছে মহাকাশ বিজ্ঞানীর একাংশ। পাশাপাশি তারা জানান,পৃথিবীতে প্রানের সঞ্চারের ক্ষেত্রে এখনো পর্যন্ত ৫০০ রকমের অ্যামাইনো অ্যাসিডের কথা জানা গেলেও যার মধ্যে প্রোটিন তৈরিতে সক্ষম এমন অ্যামাইনো অ্যাসিডের সংখ্যা ২০টি।যাদের মধ্যে গ্লাইসিন অন্যতম।
কিছুদিন আগে শুক্র গ্রহে ফসফিন গ্যাসের অস্তিত্ব, আলোড়ন তৈরি করেছিল বিশ্ব মহাকাশ মহলে। মানুষের জন্য এই গ্যাস বিষাক্ত হলেও, তা ভিনগ্রহী প্রানের অস্তিত্ব নিয়ে ভাবিয়ে তুলেছিল বিজ্ঞানীদের। এরপর এই গ্লাইসিন খোঁজ ,সে ভাবনা অনেকাংশেই বাড়িয়ে তুলেছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞান মহল।