দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ গত পরশু,প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তথা হু এর প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসুসের মধ্যে ফোনালাপের মাধ্যমে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বর্ণিত চিকিত্সা পদ্ধতির মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে দীর্ঘক্ষন আলোচনা হয় । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বের সমক্ষে আয়ুর্বেদ চিকিত্সা পদ্ধতির জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে তোলার আশ্বাস প্রদান করেছেন। আর আজ প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া সেই কথাই রাখলেন ঘেব্রিয়েসুস।
শুক্রবার একটি টুইট বার্তার মাধ্যমে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল জানালেন, শীঘ্রই ভারতে আয়ুর্বেদ গবেষণার একটি গ্লোবাল সেন্টার গড়ে তুলবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই সেন্টারে বিশেষজ্ঞরা আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বর্ণিত সকল প্রকার ওষুধের উপর গবেষণা চালাবেন। কোন রোগের ক্ষেত্রে কোন ওষুধ কতটা কার্যকরী, তা খতিয়ে দেখা হবে।
উল্লেখ্য, আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বর্ণিত চিকিত্সা পদ্ধতির প্রচলন হয়েছিলো আজ থেকে প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে। ভারতের প্রাচীন মুনি-ঋষিরা এই চিকিত্সা পদ্ধতির প্রবক্তা ছিলেন। এখনো ভারতের নানা প্রান্তে আয়ুর্বেদ চিকিত্সা পদ্ধতির প্রচলন আছে। করোনাকালেও রোগের প্রশমনে বহু চিকিত্সক আয়ুর্বেদের উপরেই ভরসা রেখে এগিয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্তৃপক্ষের এহেন ঘোষণায় আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা বেশ খুশি হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ব্রাজিল এবং ব্রিটেনের মতো বেশ কয়েকটি দেশে ইতিমধ্যে অশ্বগন্ধা এবং গুরুচির ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি প্রদান করেছে হু। পাশাপাশি, হু এর তরফ থেকে এই সংস্থাগুলিকে আর্থিকভাবে সহায়তাও প্রদান করা হয়েছে বলেই খবর। ভারতের আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই পদক্ষেপকে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত করছেন। তাদের আশা, ভারতের আয়ুর্বেদ চিকিত্সা পদ্ধতি এবার আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে যাবে।