দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: মহাকাশ গবেষণা’র ইতিহাসে সর্বপ্রথম সম্পুর্ণ বেসরকারি ‘ট্যাক্সি ফ্লাইটে’ আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে (International Space Station) পাড়ি দিলেন নাসা-র চার মহাকাশচারী, সৌজন্যে আমেরিকার স্পেসএক্স সংস্থা (Space X)।
রবিবার রাতে তিন জন মার্কিন ও এক জাপানি মহাকাশচারীকে নিয়ে কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে রওনা দিল স্পেসএক্স-এর ফ্যালকন রকেট। পৃথিবীর সময় অনুযায়ী সোমবার গভীর রাতে মহাকাশ কেন্দ্রে পৌঁছবে রকেটের উপরে সংযুক্ত ড্রাগন ক্যাপসুল ‘রেসিলিয়েন্স’। আগামী ৬ মাস পর্যন্ত সেখানেই থাকবে স্পেসএক্স-এর এই মহাকাশ যান।


বিশ্বজুড়ে ঘটে চলা কোভিড মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইকে স্মরণীয় করে রাখতেই ক্যাপসুলের নাম রাখা হয়েছে ‘রেসিলিয়েন্স,’ অর্থাৎ প্রতিরোধ। স্পেসএক্স প্রধান এলন মাস্ক নিজে কোভিড সংক্রমিত হওয়ার কারণে সমগ্র প্রক্রিয়ার উপরে দূর থেকেই নজর রেখেছিলেন। তিনি আগেই তিনি টুইটারে জানিয়েছিলেন, “তাঁর মৃদু কোভিড উপসর্গ ধরা পড়ার কারণে নিজেকে বিচ্ছিন্ন রেখেছেন।”


তবে, রবিবারের উৎক্ষেপণের মাত্র কয়েক মাস আগেই দুটি পাইলট টেস্ট ফ্লাইট উৎক্ষেপণ করে স্পেসএক্স। মনে করা হচ্ছে, এ দিনের অভিযানের সুবাদে আমেরিকা থেকে মহাকাশ কেন্দ্রে বিজ্ঞানীদের ঘন ঘন যাত্রায় নাসা-র দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে। গত শুক্রবার আগাম এই অভিযান সম্পর্কে জানিয়ে নাসা-র প্রশাসনিক প্রধান জিম ব্রাইডেনস্টাইন বলেন, ‘এ আর এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। মনে রাখবেন, প্রত্যেক উড়ানে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা থাকছে।’


কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে মহাকাশ অভিযানের প্রস্তুতি হিসেবে মহাকাশচারী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের গত অক্টোবর মাস থেকে কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করে নাসা। উৎক্ষেপণ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত সব কর্মী মুখে মাস্ক ব্যবহার করেন এবং রবিবার কেনেডি সেন্টারে মুষ্টিমেয় অতিথিকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়। উৎক্ষেপণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে ওয়াশিংটন থেকে এসে পৌঁছন ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা ন্যাশনাল স্পেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মাইক পেন্স।
স্পেসএক্স-এর এই ফ্লাইট ট্যাক্সি পরিষেবায় মাত্র সাড়ে সাতাশ ঘণ্টায় আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে পৌঁছে যেতে সফল হবেন নভোশ্চররা। এবার থেকে চাইলে আপনিও যেতে পারেন মহাকাশে। বুক করে নিতে হবে স্পেস এক্স এর ‘ট্যাক্সি ফ্লাইট’।