দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: সারা বিশ্ব জুড়েই একসময় প্লাস্টিক বিপ্লব এনে দিয়েছিলো। কিন্তু সেই বিপ্লবের মূল্য যে বিশ্বের ধ্বংস দিয়ে চকতে হবে সে কথা গুনাক্ষরেও প্রথমে টের পাওয়া যায় নি। এর পর সারা বিসবেই এখন প্লাস্টকের ব্যবহার নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি তবুও এর ব্যবহার কি আটকানো যাচ্ছে না। অভ্যাস হয়ে গিয়েছে মানুষের। কিন্তু যতই বাঁশের কাগজ বা পাট আনা হোক মানুষের কাছে সেগুলো কিছুতেই প্লাস্টিকের বিকল্পটা হয়ে উঠছে না। এবার সে সমস্যা দূর করতে পরিবেশ-বান্ধব ও অভূতপূর্ব এক বিকল্পের সন্ধান দিল খড়্গপুর আইআইটি।
শশার খোসাই হয়ে উঠতে পারে এই বিকল্প। হ্যাঁ আইআইটির গবেষকরা করে দেখাচ্ছেন সেটা। তাঁদের মতে শশার খোসায় প্রচুর পরিমাণে সেলুলোজ রয়েছে। আর এই সেলুলোজের তৈরি ন্যানোক্রিস্টাল ব্যবহার করে একধরনের ফুড প্যাকেজিং মেটেরিয়াল তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানাচ্ছেন এই নতুন বস্তুটি বায়োডিগ্রেডেবল এবং পরিবেশ ও মানব শরীরের জন্যে নিরাপদও।


গবেষকদের মতে শশা খেয়ে বা রান্নায় ব্যবহার করার পর সর্বত্রই খোসাটা ফেলে দেওয়া হয়। আর খোসা বা জৈব অবশেষটিতে প্রচুর সেলুলোজ রয়েছে। এই সেলুলোজ ও তার সাথে হেমিসেলুলোজ এবং পেক্টিন ব্যবহার করেই তাঁরা নতুন এক বায়ো মেটেরিয়াল তৈরি করেছেন যা ফুড প্যাকিজিং এর ক্ষেত্রে নতুন বিপ্লব আনবে।
এই প্রসঙ্গে আইআইটি খড়্গপুরের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর, এই গবেষণা দলের সদস্য জয়িতা মিত্র জানাচ্ছেন, ” অনেকেই ওয়ান টাইম ইউজ প্লাস্টিক ত্যাগ করেছে। কিন্তু ফুড প্যাকেজিংয়ের ক্ষেত্রে এর বিকল্প নেই। কারণ প্রাকৃতিক বাইপলিমারগুলি এই বাজার ধরতে পারেনি। তার নানা কারণও রয়েছে, যেমন দৃশ্যমানতা, স্থিতিস্থাপকতা ইত্যাদি।” আর এখানেই তাদের উদ্ভাবনটি গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন তাঁরা।