দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: সারা বিশ্বে কোভিড-১৯ আক্রান্ত মানুষের মোট ভাইরাসের পরিমাণ এক চা চামচের সামান্য বেশি। এমনটাই অংক কষে দেখিয়েছেন বিখ্যাত গণিতজ্ঞ ম্যাট পার্কার। অস্ট্রেলিয়া নিবাসী এই গণিতজ্ঞ জানিয়েছেন আণুবীক্ষণিক করোনাভাইরাসের মোট আয়তন ৮ মিলি, অথবা ০.২ ফ্লুইড আউন্স। যা বিশ্বব্যাপী এই রোগের সংখ্যা ৫৩ মিলিয়নেরও বেশি মানুষকে আক্রান্ত করেছে।
আমাদের রোজকার জীবনে ব্যবহৃত এক চা চামচ ৬ ml তরল ধারণ করে। অর্থাত্ সারা বিশ্বের করোনা ভাইরাস এক চা চামচ পরিমানের থেকে সামান্য কিছু বেশি। টিভি গণিতবিদ ম্যাট পার্কার এই পরিমাণ নিয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য বেশ কিছু অনুমান করেছিলেন কিন্তু তাঁর মতে পৃথিবীর অনুমিত সর্বোচ্চ পরিমাণ করোনা ভাইরাস একটি টাকিলা শট গ্লাসের ভেতরে মানানসই হবে।


তিনি তার বিখ্যাত পডকাস্ট ‘আ প্রবলেম স্কোয়ারড-এ’ জানান “পৃথিবীর সব বিশৃঙ্খলা… এক চা চমচের পরিমাণ। এই ভাইরাসের কণা খুবই ছোট, এটা শুধু অন্য কোষগুলোকে ধ্বংস করার কোড। প্রকৃতপক্ষে, কোভিড-১৯ ভাইরাস মানব কোষের চেয়ে মিলিয়ন গুণ ছোট।
রেডিও ৪ এর বিজ্ঞান শো ‘ইনফাইনাইট মাঙ্কি কেজ’-এর একজন প্রদায়ক পার্কার মেডিকেল জার্নাল দ্যা ল্যান্সেট-এ প্রকাশিত সোয়াব এবং গবেষণার উপর ভিত্তি করে প্রতিটি ভাইরাস আক্রান্ত কোষের সংখ্যা অনুমান করে শুরু করেন।
বিশ্বব্যাপী প্রতিদিন ৩০০,০০০ নতুন কেসের সংখ্যা ব্যবহার করে এবং ধরে নেওয়া হয়েছে যে প্রত্যেকে ১৪ দিন ধরে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে, তিনি বর্তমানে এই ভাইরাস বহনকারী মানুষের সংখ্যা গণনা করেছেন। সবকিছু গুণ করে, তিনি অনুমান করেন মানব জনসংখ্যার ৩.৩ মিলিয়ন বিলিয়ন কোভিড-১৯ কোষ আছে। আর তাদের আকার – আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের তুলনায় – তারা সম্মিলিতভাবে খুব কম জায়গা গ্রহণ করে। অর্থাত্ আমাদের একটি চুলের এক তৃতীয়াংশ’র ও কম জায়গা।